৯৫ বছর বয়সী শিল্পী জিতলেন লাতিন গ্র্যামির মুকুট!

প্রকাশ: নভেম্বর ২০, ২০২২

৯৫ বছর বয়সটা যে কারো জন্য অবসরে থাকার সময়। অথচ সেই সময়ে এসে লাতিন গ্র্যামিতে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুললেন এঞ্জেলা আলভারেজ। এখন পর্যন্ত তিনিই সবচেয়ে বেশি বয়সে এই সম্মাননায় ভূষিত হলেন।

 

কয়েক দশক ধরেই গান লিখছেন এই কিউবান সংগীতশিল্পী। যদিও সেগুলো গাওয়া কেবল বন্ধু ও পরিবারের সামনেই সীমাবদ্ধ ছিলো। ৯০ বছর বয়সে তিনি হলিউডের ঐতিহাসিক অ্যাভালন নাইটক্লাবে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক কনসার্টে সংগীত পরিবেশন করেন। নাতি কার্লোস গানগুলো রেকর্ড করেন এবং বন্ধুর সহযোগিতায় প্রকাশ করেন গত বছর। বৃহস্পতিবার সেই অ্যালবামের সূত্র ধরেই লাতিন গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড আসলো এঞ্জেলার কাছে।

অ্যাওয়ার্ড গ্রহণকালে আলভারেজ বলেন, যারা তাদের স্বপ্নকে বাস্তব হিসেবে দেখতে চায়, তারা জেনে রাখুন। জীবন যতোই কঠিন হোক না কেন, সব সময়ই তা থেকে বের হওয়ার রাস্তা তৈরি থাকে। বিশ্বাস আর ভালোবাসা দিয়ে সবকিছুই জয় করা যায়।

 

কিউবান বিপ্লবের আগে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সংগীতের প্রতি ভালোবাসা সত্ত্বেও পিতামাতা সব সময় বাঁধা দিতেন। কিন্তু তাকে থামানো যায়নি। ঘর সংসার ঠিক রেখেও গোপনে লিখে গেছেন গান। ফিদেল কাস্ত্রো কিউবার শাসন ক্ষমতায় আসার পর তিনি সন্তানদের নিয়ে চলে যান আমেরিকা। সেখানে হারিয়েছেন স্বামী ও একমাত্র কন্যাকে। নানা উত্থান-পতন গেছে জীবনে। কিন্তু তার গান লেখা থামেনি।   

২৩তম লাতিন গ্র্যামির আসর অনুষ্ঠিত হয় গত বৃহস্পতিবার। আলভারেজ সকলকেই শোনালেন আশার গান। তার ভাষায়, অনেক মানুষ হাল ছেড়ে দেয়। আমি হাল ছেড়ে দেইনি। লড়াই করে গেছি। আমি ওয়াদা করেছি, দেরি বলে জীবনে কিছু নেই।

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫