লং কভিড গবেষণায় প্যাক্সলোভিড বেছে নিল যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ: অক্টোবর ২৮, ২০২২

বণিক বার্তা অনলাইন

লং কভিড বা দীর্ঘস্থায়ী কভিডে ভুগছেন এমন রোগীদের জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ। ১০০ কোটি ডলারের এই গবেষণায় তারা ফাইজারের মুখে নেয়া অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ প্যাক্সলোভিডকে প্রাথমিক চিকিত্সা হিসেবে বেছে নিয়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি ফাইজার।

দীর্ঘস্থায়ী কভিড বলতে জটিল চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিস্থিতিকে বোঝানো হয়। যেখানে ক্লান্তি ও চিন্তাশক্তির দুর্বলতা থেকে শুরু করে ব্যথা, জ্বর ও হৃদস্পন্দন পর্যন্ত দুই শতাধিক উৎসর্গ রয়েছে। কভিড সংক্রমণের কয়েক মাস এমনকি কয়েক বছরও এমন জটিলতায় থাকতে পারেন রোগীরা।

যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ বলছে, দৈবচয়নের মাধ্যমে গবেষণাটি পরিচালিত হবে। ট্রায়ালে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী এক হাজার ৭০০ স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে প্যাক্সলোভিড প্রয়োগ করা হবে।

ডিউক ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তত্ত্বাবধানে আগামী ১ জানুয়ারি এই গবেষণা শুরু হবে।

ট্রায়ালটি লং কভিড নিয়ে প্রচলিত ধারণা মূল্যায়ন করবে। যেখানে বলা হয়, ভাইরাসের কিছু অংশ ব্যক্তি বিশেষের কোষে টিকে থাকে, এ কারণে উপসর্গগুলো দীর্ঘায়িত হয়।

বেশ কয়েকটি গবেষণায় রোগীরা ফাইজারের অ্যান্টিভাইরাল চিকিত্সা নেয়ার পর উন্নতির কথা জানিয়েছেন। অনেক চিকিত্সক ও বিজ্ঞানী সময় নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কভিড রোগীদের ওপর বড় আকারে গবেষণার পরামর্শ দিয়েছেন।

পুরানো অ্যান্টিভাইরাল রিটোনাভিরের সঙ্গে ফাইজারের বড়িকে একত্রিত করে প্রস্তুত হয়েছে প্যাক্সলোভিড। যা বর্তমানে উচ্চ-ঝুঁকির রোগীদের কভিড সংক্রমণের প্রথম দিনে ব্যবহারের জন্য অনুমোদিত।

কভিড আক্রান্ত ৫-৫০ শতাংশ রোগীর মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী কভিডের প্রাদুর্ভার দেখা গিয়েছে। মৃদু ও গুরুতর উভয় ধরনের আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব থাকতে পারে। এমনকি শিশুরাও আক্রান্ত হতে পারে। যা আক্রান্ত ব্যক্তির কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়।

 


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫