ডেঙ্গু

ঢাকার বাইরে ছড়িয়েছে ৫৪ জেলায়, কক্সবাজারে মৃত্যু বেশি

প্রকাশ: অক্টোবর ২৪, ২০২২

ফিচার ডেস্ক

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। চলতি বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ঘটিয়েছে ডেঙ্গু। ঢাকার বাইরে পর্যন্ত অন্তত ৫৩টি জেলায় ডেঙ্গু সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এতে রোগী শনাক্ত মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এদিকে ঢাকার বাইরে কক্সবাজার ডেঙ্গু সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ডেঙ্গু বাংলাদেশে এক স্থানিক মহামারীতে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন রোগতত্ত্ববিদরা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে পর্যন্ত সারা দেশে ৩১ হাজারের বেশি রোগী চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছেন ১১৩ জন রোগী। দেশে পর্যন্ত সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী এবং মৃত্যুর ঘটনা ২০১৯ সালে ঘটেছে। সেই সময় দেশের সবকটি জেলায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়। বছর এক লাখের বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও মারা গেছেন প্রায় দুইশ জন। তবে সরকারের দেয়া ওই তথ্যে হাসপাতালের বাইরে থাকা রোগী মৃত্যুর সংখ্যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

জানা যায়, ২০১৯ সালে ৬৪টি জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছিল। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৫৪ জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। নতুন জেলায় ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হলে সেখানে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা ডেঙ্গু প্রতিরোধের কোনো জনবল বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়গুলো নেই। চলতি বছরে রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, রংপুর হবিগঞ্জে কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

চলতি বছরে ঢাকার বাইরে কক্সবাজারে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মৃতের সংখ্যাও হচ্ছে দীর্ঘ। জেলায় আক্রান্ত মৃত্যুর হার বেশি রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। জেলাটিতে পর্যন্ত দেড় হাজারের বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর মারা গেছেন ২২ জন। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে মনে করছেন কীটতত্ত্ববিদরা।

তাদের মতে, ১২ লাখ রোহিঙ্গার বসতি ক্যাম্পে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। এর মধ্যে বহু মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও তার খবর পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে এলেই কেবল তথ্য সংযুক্ত করা হয়েছে। ফলে প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশি হবে। জেলা শহরের বৈদ্যঘোনা, পাহাড়তলী, কুতুবদিয়া পাড়া, টেকপাড়া, সমিতিপাড়া, নুনিয়াছড়া, টেকনাফ উপজেলার কিছু এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা গেছে। আর উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের ক্যাম্প-, ক্যাম্প-, ক্যাম্প /ইস্ট, ক্যাম্প-২৪, ২৬ ১১-কে ডেঙ্গুপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত মৌসুমি বৃষ্টিপাতের বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে প্লাস্টিক ব্যবহারকে কক্সবাজারে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কীটতত্ত্ববিদরা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫