এনআইডির সার্ভার সরকারকে দেবে না ইসি

প্রকাশ: অক্টোবর ২০, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের কাছে ভোটার তালিকার সার্ভার হস্তান্তর করবে না নির্বাচন কমশন (ইসি)। সরকার চাইলে আলাদা করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরি করতে পারে। তাহলে আমরা এখানকার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম বদলে ভোটার আইডি কার্ড রাখব। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।

এনআইডি নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকবে নাকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাবে; এ নিয়ে একযুগের বেশি সময় ধরে দুইপক্ষের মতবিরোধ চলে আসছিল। সর্বশেষ মন্ত্রিসভায় নতুন আইনের নীতিগত অনুমোদন দেয়ার পর বিষয়টি সুরাহা হতে গিয়েও তৈরি হয়েছে আরো জটিলতা। নির্বাচন কমিশন এখন বলছে, তাদের সার্ভার কাউকে হস্তান্তর করা হবে না।

২০০৮ সালে সর্বপ্রথম ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে এটিএম শামছুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর বাইপ্রডাক্ট হিসেবে এর নাম দেয়া হয় জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে এনআইডি হস্তান্তরের প্রশ্নে বেঁকে বসেন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা। সম্প্রতি নতুন নীতিগত অনুমোদন দেয়া হলে এনআইডি হস্তান্তরের গতি ত্বরান্বিত হয়। বুধবার ইসি সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা এনআইডি ইসিতে রাখার পক্ষেই জোর তাগিদ দেন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, এনআইডি সার্ভার কিংবা জনবল, কিছুই হস্তান্তর হবে না। বরং নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ভোটার আইডি কার্ড।

বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকসহ ১৬০টি প্রতিষ্ঠান টাকার বিনিময় এনআইডি সার্ভারের তথ্য ব্যবহার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও একই পদ্ধতিতে তথ্য দেয়া যেতে পারে বলে মত এই কমিশনারের। সেক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড ছাড়াও নতুন আরেকটি এনআইডি করতে গেলে জটিলতা হবে কিনা, এমন প্রশ্নে মো. আলমগীর বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নতুন কিছু করলে সেটা তাদের এখতিয়ার।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫