বন্যা সত্ত্বেও চাল রফতানিতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা থাইল্যান্ডের

প্রকাশ: অক্টোবর ০৬, ২০২২

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছর থাইল্যান্ডের চাল রফতানি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির মুদ্রা বাথের বিনিময় মূল্য কমে যাওয়ায় বিদেশের বাজারে থাই চালের চাহিদা বেড়েছে। ফলে বন্যা সত্ত্বেও রফতানিতে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ। থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন তথ্য জানিয়েছে।

থাইল্যান্ড বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ চাল রফতানিকারক। গত বছর দেশটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টন চাল রফতানি করেছিল। বছর সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটির সরকার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়েছে। তবে সম্প্রতি ঘূর্ণিঝড় নোরুর কারণে সৃষ্ট বন্যায় রফতানি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল। তবে রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছে, বন্যা চাল উৎপাদন কিংবা রফতানিতে খুব বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি।

অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা জানান, সেপ্টেম্বরের শেষ অক্টোবরের শুরুর দিকে বন্যার কারণে কিছু এলাকায় ধানের খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এর প্রভাব খুবই স্বল্প। শস্যটি রফতানিতে বন্যা কোনো ধরনের বাধাই সৃষ্টি করেনি বলে দাবি তাদের।

অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য বলছে, বছর থাইল্যান্ডের চাল রফতানি নিশ্চিতভাবে ৭৫ লাখ টনে পৌঁছবে। তবে বাতের বিনিময় মূল্য এবং ভারতের রফতানি শুল্ক বছরের শেষ নাগাদ নিম্নমুখী থাকলে রফতানি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে বিশ্বের শীর্ষ রফতানিকারক ভারত ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়া অন্যান্য চালের ওপর নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ শতাংশ শুল্ক। ভারত যদি রফতানি নীতিতে নাটকীয় কোনো পরিবর্তন না আনে, তবে আগামী বছরও থাইল্যান্ড ৮০ লাখ টন চাল রফতানি করতে সক্ষম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫