সরকার হটানোর যুগপৎ আন্দোলন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ করে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে বলেও জানান তিনি। আজ সোমবার সকালে গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) সঙ্গে সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন চলমান থাকতেই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমাদের নেতৃত্ব বা নেতা আগেই ঘোষণা করেছি। খালেদা জিয়াই আমাদের নেত্রী। তার অবর্তমানে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নেতা। সরকার বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষ করে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন শুরু করবে।
গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে সকালে বিএনপি মহাসচিব ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে সংলাপে বসেন। দলটির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস, মাওলানা রুহুল আমীন, সেলিম মাস্টার, কেন্দ্রীয় নেতা হান্নান আহমেদ খান, এএসএম শামীম, কাজী মো. নজরুল ও গোলাম মোস্তফা।
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সংলাপ শেষে বিএনপি মহাসচিব সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা দ্বিতীয় গণআন্দোলনের দফা নির্ধারণ করার বিষয় নিয়ে আজকে জাতীয় পার্টি মোস্তফা জামাল হায়দার সাহেবের নেতৃত্বে তার দলের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের দাবিনামার মধ্যে যেটা কমন সেটা হচ্ছে এ সরকারের পদত্যাগ, পদত্যাগ করে সংসদ বাতিল করতে হবে এবং একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে তাদেরকে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের পর তার অধীনে একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান, খালেদা জিয়াসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সবাইকে একত্রিত করা। আমরা সেই পথে অনেকখানি অগ্রসর হয়েছি। আমরা আওয়ামী লীগ বিরোধী সকল রাজনৈতিক সঙ্গে আলোচনায় সফল হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ এ সংগ্রাম জয়যুক্ত হবেই।
এর আগে, রোববার ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শুরু করে বিএনপি। সন্ধ্যায় এলডিপির চেয়ারম্যান অলি আহমেদের সঙ্গে সংলাপে বসবেন মির্জা ফখরুল।