১৫ মাসের সর্বনিম্নে মালয় পাম অয়েলের দাম

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

বণিক বার্তা ডেস্ক

ফিউচার মার্কেটে মালয়েশিয়ান পাম অয়েলের দাম কমে ১৫ মাসের সর্বনিম্নে নেমেছে। নিয়ে টানা পাঁচ কার্যদিবসে পণ্যটির দাম কমল। বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার উদ্বেগ ভোজ্যতেলটির চাহিদা দুর্বল করে তুলছে। খবর বিজনেস রেকর্ডার।

তথ্য বলছে, বুরসা মালয়েশিয়া ডেরিভেটিভস এক্সচেঞ্জে ডিসেম্বরে সরবরাহ চুক্তির দাম দশমিক শতাংশ কমেছে। প্রতি টনের মূল্য নেমেছে হাজার ৩৪৪ রিঙ্গিত বা ৭২৪ ডলার ২৮ সেন্টে। কার্যদিবসের শুরুতে এটির দাম হাজার ৩২৬ রিঙ্গিত পর্যন্ত নেমে গিয়েছিল, যা ২০২১ সালের ১৮ জুনের পর সর্বনিম্ন। গত পাঁচদিনে চুক্তিটির দাম ১৪ শতাংশ কমেছে। দাম হাজার ৪৩০ রিঙ্গিতের গণ্ডি ছাড়িয়ে নিচে নেমে এসেছে। এদিকে জ্বালানির বৈশ্বিক বাজার পুঁজিবাজারে অস্থিরতার কারণে ভোজ্যতেল বেচাকেনা চাপের মুখে পড়েছে।

অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভোজ্যতেলের বাজারে নিম্নমুখিতাও দাম কমাতে সহায়তা করছে। ডালিয়ান ফিউচারস এক্সচেঞ্জে সয়াবিন তেলের দাম দশমিক ৫২ শতাংশ কমেছে। এখানে পাম অয়েলের চুক্তি মূল্য কমেছে দশমিক শতাংশ। এছাড়া শিকাগো বোর্ড অব ট্রেডে পাম অয়েলের দাম দশমিক ২২ শতাংশ কমেছে।

এদিকে দুই বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ২০ লাখ টন স্পর্শ করেছে মালয়েশিয়ার পাম অয়েলের মজুদ। পণ্যটির ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন মজুদ বাড়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছে। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় তথ্য উঠে এসেছে।

সমীক্ষার তথ্য বলছে, আগস্টে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩০ হাজার টন। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মজুদ ১৪ দশমিক শতাংশ বেড়েছে, যা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

পাম অয়েল উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ মালয়েশিয়া। গত মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শতাংশ বেড়েছে। উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ টনে। এর মধ্য দিয়ে উৎপাদন ১০ মাসের সর্বোচ্চে উঠে এসেছে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক পাম অয়েল অ্যানালিটিকসের সহপ্রতিষ্ঠাতা সাথিয়া ভারকা বলেন, মৌসুমে সর্বোচ্চ উৎপাদন হয় আগস্টে। সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে মাটির আর্দ্রতা উর্বরতা বাড়ে, যা উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। তবে চলতি মাসে উৎপাদন বৃদ্ধির গতি কিছুটা শ্লথ হয়ে পড়তে পারে।

এদিকে গত মাসে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল রফতানি কমেছে। সময় দেশটি ১৩ লাখ ২০ হাজার টন পাম অয়েল রফতানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১৪ শতাংশ কম। বিশ্লেষকরা জানান, সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধিজনিত প্রতিযোগিতা বেড়েছে। কারণে রফতানিতে পিছিয়ে পড়েছে মালয়েশিয়া।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫