ইন্দোনেশিয়া পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে দেশটিতে পণ্যটির মজুদ বেড়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে। নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পরও রফতানিতে আশানুরূপ প্রবৃদ্ধি না আসায় মজুদ ঊর্ধ্বমুখী। তবে আগামী ডিসেম্বর নাগাদ পাম অয়েলের মজুদ ব্যাপক হারে কমার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর রয়টার্স।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রফতানি বাড়াতে জাকার্তা ডিএমও নীতিতে পরিবর্তন এনেছে। পাশাপাশি রফতানি শুল্কও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ডিসেম্বরের মধ্যে পণ্যটির রফতানি ঘুরে দাঁড়াবে। এর ফলে কমবে মজুদ।
ভারতের আগ্রায় অনুষ্ঠিত গ্লোবঅয়েল কনফারেন্সের এক পর্যায়ে ইন্দোনেশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান জোকো সুপ্রিয়নো সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পাম অয়েল রফতানি এরই মধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। একই সঙ্গে কমছে মজুদও।
স্থানীয় বাজারে দাম কমিয়ে আনতে এ বছরের ২৩ মে পাম অয়েল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ইন্দোনেশিয়া। টানা তিন সপ্তাহ এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ছিল। এতে দেশটিতে পাম অয়েলের মজুদ ব্যাপক বেড়ে যায়। ঊর্ধ্বমুখী মজুদের কারণে বিপাকে পড়েন দেশটির উৎপাদকরা।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর থেকেই স্থানীয় বাজারে বিক্রির বাধ্যবাধকতা বাস্তবায়নে কাজ করছে জাকার্তা, যা ডমিস্টিক মার্কেট অবলিগেশন (ডিএমও) নামে পরিচিত। এর উদ্দেশ্য রফতানি বাড়লেও স্থানীয় বাজারে যাতে পাম অয়েলের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।