বাংলাদেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য পড়ানো হয়। বাংলাদেশে প্রাতিষ্ঠানিক স্থাপত্য শিক্ষাক্রমের শুরু হয় ১৯৬২ সালে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) দেশের প্রথম স্থাপত্য স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইউএসএইডের সহযোগিতায়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আসা অধ্যাপকদের প্রচেষ্টায় তৈরি হয় এর পাঠ্যক্রম। আজ অবধি দেশের স্থাপত্য অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীরা যে পাঠ্যক্রম অনুসরণ করেন, তার অনেকটাই বুয়েটের পুরনো পাঠ্যক্রমেরই কিছুটা উন্নীত সংস্করণ। দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্য বিষয়ে শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মেয়াদে অনার্স ও মাস্টার্স অর্জন করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় স্থাপত্য বিষয়ে ব্যাচেলর ইন আর্কিটেকচার ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
পাবলিক
বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা
বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) স্থাপত্য বিষয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
বেসরকারি
বিশ্ববিদ্যালয়
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেমন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আহ্ছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, লিডিং ইউনিভার্সিটি, শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ,
সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপত্যে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিদেশে
উচ্চ শিক্ষা
ব্যাচেলর ইন আর্কিটেকচার ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশের বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স ইন আর্কিটেকচার ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া পিএইচডি ও পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ করারও সুযোগ আছে। মেধা ও ভালো সিজিপিএ থাকলে ফুল স্কলারশিপে পড়তে পারবেন বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে। মূলত পাঁচ বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি কতটা দক্ষতা ও ভালো সিজিপিএ নিয়ে বের হয়েছেন তার ওপরই নির্ভর করে বিদেশে উচ্চ শিক্ষার স্কলারশিপ। মাস্টার্স অব আর্কিটেকচার, মাস্টার্স অন ল্যান্ডসকেপ আর্কিটেকচার ও মাস্টার্স ইন আরবান ডিজাইন—এ তিন বিষয়ে নিতে পারবেন উচ্চতর ডিগ্রি। এছাড়া এমএসসি ইন আর্কিটেকচারাল লাইটনিং ডিজাইনিং, এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন, এমপ্ল্যান ইত্যাদি বিষয়ে মাস্টার্স অর্জনের সুযোগ আছে।
স্থাপত্যে
উচ্চ শিক্ষায়
বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং ২০২২ একাডেমিক খ্যাতি ও গবেষণার ওপর ভিত্তি করে স্থাপত্যে বিশ্বসেরা ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো—
১. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), যুক্তরাষ্ট্র।
২. ডেলফ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ডেলফ, নেদারল্যান্ডস।
৩. ইউসিএল, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।
৪. ইটিএইচ জুরিখ, জুরিখ, সুইজারল্যান্ড।
৫. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যামব্রিজ, যুক্তরাষ্ট্র।
৬. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুর (এনইউএস), সিঙ্গাপুর।
৭. ম্যানচেস্টার স্কুল অব আর্কিটেকচার, যুক্তরাজ্য।
৮. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে (ইউসিবি), বার্কলে,
যুক্তরাষ্ট্র।
৯. সিংহুয়া ইউনিভার্সিটি, বেইজিং, চীন।
১০. পলিটেকনিকো ডি মিলানো, মিলান, ইতালি।