মাত্র চারজন মেরুরজ্জু রোগী নিয়ে যাত্রা করেছিল পক্ষাঘাতগ্রস্তদের সবচেয়ে বড় পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি)। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭৯ সালে যাত্রা করে। চার যুগ পরে এসে এখনো সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৪০ হাজার রোগীকে।
সিআরপি প্রতিষ্ঠা করেন ইংল্যান্ডের নাগরিক ভেলেরি অ্যান টেইলর। ১৯৯০ সালে ঢাকা মহানগরীর অদূরে সাভারে একটি স্থায়ী পক্ষাঘাত পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন ভেলেরি। বর্তমানে এ কেন্দ্র সিআরপি নামে সমধিক পরিচিত।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিআরপি সেবাও বাড়াতে থাকে। বর্তমানে সারা দেশে ১২টি শাখা রয়েছে। এসব কেন্দ্রে ব্যথার রোগী, প্যারালাইসিস, বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধী, মেরুরজ্জুতে আঘাতপ্রাপ্ত এবং গাইনিকোলজিক্যাল কিণং কম্বিনেশনের রোগী আসে চিকিৎসা নিতে।
ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি পেশাগত থেরাপি, স্পিচ অ্যান্ড ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপি, পেডিয়াট্রিক থেরাপি, কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরিসহ বেশকিছু সেবা দিচ্ছে এশিয়ার অন্যতম প্রতিষ্ঠানটি।
ভর্তি রোগীদের জন্য ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া রয়েছে আউটডোর সুবিধাও। প্রতিদিন প্রায় ৮০০-৯০০ রোগী আসে এ আউটডোরে। এদের বেশির ভাগই ব্যথা, প্যারালাইসিস ও প্রতিবন্ধিতা নিয়ে আসছে। আগত রোগীদের বেশ বড় অংশই হলো মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সদস্য। গরিব রোগীদের মাসিক আয়ের ওপর ভিত্তি করে তাদের চিকিৎসায় ছাড় দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব সমাজকল্যাণ বিভাগ থেকে এ অর্থ দেয়া হয়। তাছাড়া হতদরিদ্র পরিবারকে আরো বেশি সহায়তা দিয়ে আসছে সিআরপি। এসব রোগীকে ডিগ্রিধারী ফিজিওথেরাপিস্টরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। তারা সবাই পাঁচ বছর ব্যাচেলর ডিগ্রি শেষ করার পর আরো দুই বছর মাস্টার্স ডিগ্রি করেছেন।
সিআরপির মাস্টার্স অব সায়েন্স প্রোগ্রামের কো-অর্ডিনেটর ডা. এহসানুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, চিকিৎসার পাশাপাশি ১৯৯২ সালে ফিজিওথেরাপির ওপর উচ্চতর কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে পাঁচটি বিভাগে এ শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে।