‘রিসার্চ ল্যাবরেটরি করার পরিকল্পনা রয়েছে’

প্রকাশ: আগস্ট ০৮, ২০২২

আমাদের টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটদের কোয়ালিটি আগের চেয়ে অনেক ডেভেলপড। তবে আন্তর্জাতিক মানের বিবেচনায় আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে যদি তুলনা করি তাহলে আমরা অনেক পিছিয়ে। আমাদের টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট প্রাইভেট টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটগুলোয় রিসার্চ করার সুযোগ তেমন নেই। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফোর্থ রেভল্যুশনে যে মেশিনারিজ সে সম্পর্কে ধারণা-জ্ঞান অত্যন্ত নগণ্য। বাস্তবে ইন্টার্নি করার পর তাদের ডেভেলপ করছে। বুটেক্স থেকে যারা পাস করে, আসলে বুটেক্সে সাইনবোর্ড চেঞ্জ হয়েছে। আগে ছিল ডিপ্লোমা কলেজ, তারপর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, তারপর বুটেক্স হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার যদি চিন্তা করা হয়, পাকিস্তান আমলে যখন এটা হয়েছিল ওই অবস্থার মধ্যেই আছে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ সেল যেভাবে থাকা দরকার সেভাবে নেই। পুরনো যে শিক্ষকরা কাজ করছেন, তারা ওইভাবে আন্তরিক না। তারা যদি সে রকম হতো, তাহলে বিদেশীরা এসে মিডলেভেলে চাকরি করে টেক্সটাইল খাত থেকে কেন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যাচ্ছে?

প্রথম কথা হলো, আমাদের দেশের টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটরা হাতেকলমে কাজে দক্ষ না। পরিশ্রমী না, ফিল্ডে কাজ করতে চায় না, তারা অফিসে বসে কাজ করতে চায়। কিন্তু একজন ইঞ্জিনিয়ারের কাজ তো তার ফিল্ডে। সে যদি ফিল্ডে না নামে, রিসার্চ না করে, শরীরের ঘাম যদি না পড়ে তাহলে সে কীভাবে কাজ শিখবে, কাজ জানবে?

আমরা মনে করি, তাদের আরো পরিশ্রমী উদ্যমী হতে হবে। তবে সবচেয়ে খারাপ তা নয়। এর মধ্যে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অনেক ছেলেই এগিয়ে আসছে। তারা ভালোও করছে। কারো কারো বেতন ২০ লাখ, ২৫ লাখ পর্যন্ত আছে। ভালো বেতন পাচ্ছে। এটা তাদের পরিশ্রমের ফল। মেজরিটি টেক্সটাইল গ্র্যাজুয়েটই সে রকম হচ্ছে না। আমাদের লোকগুলো যদি সেই গ্রেডে হয়ে আসত, তাহলে (বিদেশী) হাই ম্যানেজমেন্টের লোকগুলো প্রয়োজন হতো না।

এখন দেখা যাচ্ছে, একটা ছেলে রিসার্চে ভালো করছে, উৎপাদন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে না।

একটা রিসার্চ ল্যাবরেটরি করার চিন্তা আমরা করেছি। এজন্য খরচ হবে কোটি টাকা। ছাত্ররা এখানে বিভিন্ন ধরনের রিসার্চের কাজ করবে। এছাড়া গাড়ি কেনার প্ল্যান নিয়েছি। আমরা ঠিক করে দেব, সেই গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন ফ্যাক্টরির যেটাতে রিসার্চেবল মেশিন আছে, সেখানে তারা যাবে। এজন্য ফান্ড লাগবে। আমি চাই, আমাদের ইনস্টিটিউটের ছেলেগুলো যেন সুন্দরমতো বেরিয়ে আসে এবং গবেষণামূলক কাজ করে। পুরো পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য সময় লাগবে।

 

মোহাম্মদ আলী খোকন: সভাপতি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫