ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হয়েছে ৮৮ লাখ টাকা, যা কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে এ বিলকে ‘স্বাভাবিক’
বলছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হয়েছিল ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৫ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছে ৮৮ লাখ টাকা, যা আগের অর্থ বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
২০২১-২২ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৮৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনে ১৪ লাখ ৫০ হাজার, বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক ভবনগুলোয় ৩৪ লাখ এবং আবাসিক হলগুলোয় ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বিদ্যুৎ বিলের হিসাব আমার কাছে নেই। বিদ্যুৎ বিলের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) যে বিল প্রস্তুত করে দেয় সেটি আমাদের পরিশোধ করতে হয়। এখানে বিল টেম্পারিং করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরাসরি জি টু জি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পেমেন্ট করি। তাই বিপিডিবিরও কোনো স্বার্থ নেই।
এক বছরে দ্বিগুণের বেশি বিল অস্বাভাবিক কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা অস্বাভাবিক নয়। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর যখন ছোট ছিল তখন ৪-৫ লাখ টাকাও বিল এসেছিল। এখন কলেবর বেড়েছে। বেশকিছু উঁচু ভবন হয়েছে। তাছাড়া আমরা উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎসমৃদ্ধ হয়েছি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকায় বিল বাড়ছে। তাই এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, হতেই পারে।