পাকিস্তানপন্থী আইনপ্রণেতাদের তালিকা তৈরির সুপারিশ

প্রকাশ: জুন ২৮, ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজাকার, আল-বদর, আল শামস বাহিনীর পাশাপাশি পাকিস্তানের পক্ষ নেয়া ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমএনএ) তালিকা তৈরি হচ্ছে। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল পরীক্ষা করে এক প্রতিবেদনে ওই তালিকা তৈরির সুপারিশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

গতকাল সংসদীয় কমিটির সভাপতি সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন। সাধারণত কোনো খসড়া আইনে সংসদীয় কমিটি পরিবর্তনের সুপারিশ করলে সংসদে তা গ্রহণ করা হয়। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বিল-২০২২ সংসদে জুন উত্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দিতে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

সংসদে তোলা বিলে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ হইতে ১৬ ডিসেম্ব্বর পর্যন্ত যাহারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বাহিনীর সদস্য হিসাবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসেবে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন বা আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য হিসাবে সশস্ত্র যুদ্ধে নিয়োজিত থাকিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন বা খুন, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগের অপরাধমূলক ঘৃণ্য কার্যকলাপ দ্বারা নিরীহ মানুষকে হত্যার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করিয়াছেন অথবা একক বা যৌথ বা দলীয় সিদ্ধান্তক্রমে প্রত্যক্ষভাবে, সক্রিয়ভাবে বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করিয়াছেন; তাহাদের তালিকা প্রণয়ন গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের নিকট সুপারিশ প্রেরণ করবে।

সংসদীয় কমিটি মুজাহিদ বাহিনী পিস কমিটির সদস্যদের তালিকা তৈরির বিধান রাখার সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে ১৯৭০ সালের নির্বাচনে যারা এমএনএ নির্বাচিত হয়ে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল এবং বাংলাদেশের পক্ষ নেয়ার কারণে শূন্য ঘোষিত আসনে উপনির্বাচনে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নির্বাচিত হয়েছিল সেসব এমএনএদের তালিকা তৈরির সুপারিশ করা হয়েছে।

সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা আছে, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের বীর মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞা এই আইনে গৃহীত হবে। সংসদীয় কমিটি ওই সংজ্ঞা বিলের ধারায় যুক্ত করেছে।

কাউন্সিলের আটজন সদস্য প্রধান উপদেষ্টা মনোনয়ন দেবেন, যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হবে।

উপদেষ্টা পরিষদে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী থাকবেন। প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক মনোনীত পাঁচজন সদস্য মনোনয়নের ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধের ফোর্স কমান্ডার, সাব সেক্টর কমান্ডার অথবা কমান্ডারসমূহের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, এই বিষয়ক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবও এই পরিষদে থাকবেন।

কাউন্সিল মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযোদ্ধা সংশ্লিষ্ট সকল সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান, সাময়িকভাবে স্থগিত বাতিল করতে পারবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫