২০২২-২৩ অর্থবছরের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ানো হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। স্থল ও সমুদ্রে গ্যাসের ব্যাপক সম্ভাবনা থাকার পরও অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নেই সরকারি উদ্যোগ। ফলে বিদেশ থেকে বেশি দামে জ্বালানি কিনতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর সিস্টেম লস কমানোর পাশাপাশি দক্ষতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা না গেলে আগামীতে জ্বালানি খাত ভয়াবহ সংকটের মুখে পড়বে। দেশের খনিজ জ্বালানি অনুসন্ধান, নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো গুরুত্বপূর্ণ।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত’ শীর্ষক আলোচনায় এ সুপারিশ করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।
অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় মূল প্রবন্ধ উত্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এছাড়া অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরূল ইমাম, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আমরা এলএনজি আমদানি করছি। এখন স্পট মার্কেট থেকেও আনতে হচ্ছে। আবার ২০২৫ সালের আগে দীর্ঘমেয়াদে কোনো চুক্তিতে যাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে স্পট মার্কেট থেকে আমদানির চাহিদা আরো বাড়বে। যেটি সামনে আরো অসুবিধায় ফেলবে। তাই আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশে উৎপাদনের পথে হাঁটতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরূল ইমাম বলেন, আমাদের দেশীয় গ্যাস ধীরে ধীরে কমে আসছে। আদিকাল থেকে গ্যাসের উৎপাদন ক্রমাগত হারে বাড়ছিল। ২০১৫ সাল পর্যন্ত বেড়েছে। ২০১৬ সালের পর আর বাড়েনি। ২০১৭ সালের পর থেকে এটা কমছে। এটা কমতেই থাকবে। যদি আমরা নতুন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে না পারি, ২০৪০ সালে গ্যাস ব্যবহার একেবারে নগণ্য হয়ে যাবে। এর প্রভাব পড়ে বিদ্যুতে। কিন্তু এটা হওয়ার কথা নয়।
পাওয়ার সেলের মহাপরিচলক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, কৃষি-সেচ ও অন্যান্য কিছু খাতে বিদ্যুতে আমরা ভর্তুকি দিচ্ছি। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লোকসান করে। সেখানেই ভর্তুকি দিতে হয়।