দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী ধারার মধ্যে গত একদিনে ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। কভিডে মৃত্যু হয়েছে আরো একজনের। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ সময়ের মধ্যে কভিড-১৯-এ একজনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে সুস্থ হয়েছে ১২৭ জন। গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৯ হাজার ২১৪টি নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ৩১৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাতে ১৩ ফেব্রুয়ারির পর প্রথমবারের মতো দৈনিক শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৩২ শতাংশে পৌঁছেছে। আগের দিন এ হার ছিল ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। করোনার ওমিক্রন ধরনের দাপট কমে আসার পর শনাক্তের হার ১ শতাংশের নিচে ছিল বেশ কিছুদিন। দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দশের নিচেও নেমেছিল। মাঝে ২০ দিন কভিডে কারো মৃত্যু হয়নি। কিন্তু জুনের শুরু থেকে আবারো সংক্রমণ বাড়ছে প্রতিদিন। চারদিন ধরে মৃত্যুর খাতাও আর শূন্য থাকছে না।
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৬০ হাজার ৫২৮। তার মধ্যে ২৯ হাজার ১৩১ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাস। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছে আরো ১২৭ জন কভিড রোগী। তাদের নিয়ে ১৯ লাখ ৬ হাজার ২৩২ জন সেরে উঠল। গত একদিনে শনাক্ত ১ হাজার ৩১৯ নতুন রোগীর মধ্যে ১ হাজার ১৬৩ জনই ঢাকা মহানগর ও জেলার বাসিন্দা। গত একদিনে ষাটোর্ধ্ব যে পুরুষের মৃত্যু হয়েছে, তিনিও ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর বিভাগের ৩০টি জেলায়। গত একদিনে সিলেট বিভাগে কোনো শনাক্ত রোগী পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬৩ লাখ ২৪ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫৪ কোটি ১৪ লাখ।