গত বছর বাতিল হওয়া ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেট (ওটিসি) থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এসএমই বোর্ডে আসা এপেক্স উইভিং অ্যান্ড ফিনিশিং মিলস লিমিটেডের শেয়ারদর ও লেনদেন আবারো অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। এ বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়ে গতকাল কোম্পানিটির কাছে চিঠি দেয় ডিএসই। যার জবাবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই।
উৎপাদন বন্ধ, ধারাবাহিক লোকসান ও দেশের শীর্ষ ঋণখেলাপির তালিকায় থাকা কোম্পানির শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণ জানতে চেয়ে গত এপ্রিল থেকে তিনবার চিঠি দেয় ডিএসই। এর মধ্যে চলতি মাসেই দুবার (৭ ও ২০ জুন) চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবারই কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের কাছে সাম্প্রতিক সময়ে শেয়ারদর ও লেনদেন অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার পেছনে কোনো ধরনের অপ্রকাশিত মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ৩১ মে থেকেই ডিএসইতে ঊর্ধ্বমুখী এপেক্স উইভিংয়ের শেয়ারদর। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ছিল ১৩ টাকা ৬০ পয়সা। সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়ে ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। সে হিসাবে আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা বা ১৭১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এর মধ্যে ১৪ জুন থেকে পাঁচ কার্যদিবসে বেড়েছে ১৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৫৫ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এর আগের দুই কার্যদিবস অবশ্য শেয়ারটির দর কমেছে। দুদিন কমার পর আবারো শেয়ারদর অস্বাভাবিকভাবে বাড়ায় গতকাল চলতি মাসে দ্বিতীয় দফায় চিঠি দেয় ডিএসই। গতকালই যার জবার দিয়েছে কোম্পানিটি। এদিকে শেয়ারদর বাড়ার পাশাপাশি ১৫, ১৬ ও ১৯ জুন কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনও ছিল অস্বাভাবিক। এর মধ্যে ১৯ মে সবচেয়ে বেশি ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৪৫০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
১৯৯৫ সালে দেশের স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয় অ্যাপেক্স উইভিং। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজার থেকে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে। পরবর্তী সময়ে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের নিয়মিত লভ্যাংশ না দেয়ায় ২০০৯ সালে ওটিসি মার্কেটে স্থানান্তরিত হয়। এরপর দীর্ঘ ১১ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির ব্যবসায়িক কার্যক্রমে উন্নতি হয়নি। গত বছর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি কোম্পানিটিকে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জের স্বল্প মূলধনি বা এসএমই বোর্ডে লেনদেনের অনুমোদন দেয়। অ্যাপেক্স উইভিংয়ের পরিশোধিত মূলধন ৩৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পুঞ্জীভূত লোকসানের পরিমাণ ৮৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।