বন্যার কারণে পদ্মায় অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে পানি। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পয়েন্টে ৪৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পায়। এতে ডুবে যায় কয়েকটি ঘাট। দেখা দেয় ফেরি সংকট। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দুই পাড়ে দেখা দেয় দীর্ঘ যানজট। কয়েক কিলোমিটারজুড়ে পারাপারের অপেক্ষায় থাকতে হয় বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন যানের। এতে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে ঢাকামুখী ও ঢাকা থেকে বের হওয়া মানুষের। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদের। যদিও যাত্রীবাহী যানবাহন ও পঁচনশীল দ্রব্যের যানবাহনগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) রাজবাড়ীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের পন্টুন পানিতে ডুবে যায়। এতে গতকাল দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরি ঘাট বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার নদীতে ৮০ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধির ফলে দৌলতদিয়ার ৪ ও ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ ছিল। সারা দিন পর সন্ধ্যা ৭টার সময় চার নম্বর ও মধ্যরাতে পাঁচ নম্বর ঘাট সচল করা হয়। কিন্তু সাত নম্বর ঘাটের পন্টুন পানিতে ডুবে গেলেও ঝুঁকি নিয়ে তখনো যানবাহন ওঠানামা করছিল। ঘাট সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘাট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর আবার বিকাল ৫টা থেকে ঘাট সচল হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দৌলতদিয়ার ৩, ৪, ৫ ও ৭ নম্বর ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার চলছিল। বন্ধ ছিল ১, ২ ও ৬ নম্বর ঘাট।
ফেরি পারে সিরিয়ালে আটকে থাকা চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, নদী পারাপার হতে ঘাটে এলে ভোগান্তিতে পড়তেই হয়। এখন বর্ষা মৌসুম শুরু, এতেই শুরু হয়েছে ভোগান্তি।
ঘাটের সর্বশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ১৭টি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। রোরো (বড়) ফেরি ভাষাসৈনিক গোলাম মওলাসহ মোট চারটি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পাটুরিয়ার ভাসমান কারখানা মধুমতিতে মেরামতে আছে।