সর্বশেষ সমাপ্ত হিসাব বছরে ভালো মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আগের হিসাব বছরের তুলনায় এ সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশের বেশি। কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। কোম্পানির ২১১তম পর্ষদ সভায় এ আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সভা থেকে ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২১ হিসাব বছরের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ করা হয়।
মূল্যসংবেদনশীল তথ্য (পিএসআই) অনুসারে, ২০২১ হিসাব বছরে ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরে নিট মুনাফা ছিল ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির নিট মুনাফা বেড়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বেশি বা ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ। সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫১ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৮৯ পয়সায়। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ২০ টাকা ৭০ পয়সা।
এদিকে সমাপ্ত হিসাব বছরের ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনা ও অনুমোদনের জন্য আগামী ২০ জুলাই বেলা ৩টায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ জুন।
এর আগে ২০২০ হিসাব বছরের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয় কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ ও ৩ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ ছিল। তার আগের হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ আর বাকি ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৭ হিসাব বছরে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ হারে নগদ ও স্টক লভ্যাংশ দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এছাড়া ২০১৬ হিসাব বছরে ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশের পাশাপাশি ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পেয়েছিলেন কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা।