অভিজ্ঞ বোলিং অ্যাটকা ছাড়া শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে মাঠে নামতে
হচ্ছে বাংলাদেশকে। সাকিব আল হাসান কভিড আক্রান্ত, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ
চোটাক্রান্ত। তাই নতুনদের নিয়ে বোলিং আক্রমণ সাজাতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। পেস বোলিংয়ে
সবচেয়ে অভিজ্ঞ বলতে আছেন ১৪ টেস্ট খেলা এবাদত হোসেন। এছাড়া শরিফুল ইসলাম তিনটি ও
খালেদ আহমেদ খেলেছেন পাঁচটি টেস্ট। শহিদুল ইসলাম ও রেজাউর রহমান রাজা এখনো টেস্ট
ক্যাপই পরেননি।
এমন পরিস্থিতিতে বাড়তি কাজ করতে হবে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ অ্যালান
ডোনাল্ডকে। তিনি চান এ টেস্ট বাংলাদেশের পেসাররা নতুন বল নয়, পুরনো বলের দিকেই নজর দিক। অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাকের শিষ্যদের নিয়ে আজ
বৃহস্পতিবার ট্রেনিং সেশনে কাজ করেছেন সঙ্গে ইনসুইং, আউট সুইং ও রিভার্স সুইং নিয়ে। পুরনো
বলেই যা ভালো কার্যকর হয়।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলন শেষে সংবাদ
সম্মেলনে ডোনাল্ড বলেছেন,
এ ধরনের উইকেটে
নতুন বল খুব গুরুত্বপূর্ণ। গত কয়েক দিন এ বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি। নতুন বলে আমাদের
হট জোন খুঁজে নিতে হবে। সেখানেই লম্বা সময় বোলিং করতে হবে।
পুরনো বলে পেসারদের নিয়ে ডোনাল্ডের পরামর্শ, আমাদের আজকের অনুশীলনটা ছিল পুরনো
বলের বোলিং নিয়ে। প্রতিটি সেশনে বল রিভার্স সুইং করানো নিয়ে গুরুত্ব দিয়েছি।
আমাদের পুরনো বলে খুবই ধৈর্য্যশীল হতে হবে। সঙ্গে সৃষ্টিশীল হতে হবে। আমাদের অবশ্য
এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে, সেটা নিয়ে কিছু বলতে হবে না। ওরা এসব উইকেটেই বল করে অভ্যস্ত। তবে আমার
মনে হয়, সার্বিকভাবে আমরা কতটা ধৈর্য্য ধরতে
পারি, কতটা সৃষ্টিশীল হতে পারে, তার পরীক্ষাই হবে এ সপ্তাহে। প্রথম ৩০
ওভারে আমাদের সেরাটা বের করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে ৪০ রান দিয়ে অন্তত ৩ উইকেট
নেয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার এই কিংবদন্তি আরো বলেন, এখানকার কন্ডিশনে সাফল্য পেতে সবারই
খুব ঘাম ঝরাতে হবে। ৩০ ওভারের পর আমরা নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কতটা চাপ তৈরি করতে পারি, সেটা দেখতে হবে। আর অবশ্যই বল পুরোনো
হলে রিভার্স সুইং করাতে হবে। তবে এই কন্ডিশন অবশ্যই পেসারদের পরীক্ষা নেবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। মানসিক শক্তি, সৃষ্টিশীলতা ও শৃঙ্খলা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ
হবে।