ইউক্রেনের বড় শহর মারিওপোল দখল নিতে যাচ্ছে রুশবাহিনী। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুরের খাবারের আগে কিংবা তার পরে আজভস্টল রাশিয়ান ফেডারেশনের বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান। খবর রয়টার্স।
ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর আট সপ্তাহের মাথায় মারিওপোলই হবে রাশিয়ার দখল করা সবচেয়ে বড় শহর। অনেক সামরিক বিশ্লেষকের মতে, এ আগ্রাসন ধারণার চেয়ে বেশি সময় ধরে চলছে। রুশ আগ্রাসনে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে গেছে ৫০ লাখের বেশি মানুষ।
রাশিয়ার চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভ বলেন, দুপুরের খাবারের আগে কিংবা তার পরে মারিওপোল আজভস্টল রাশিয়ান ফেডারেশনের বাহিনীর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করছে কাদিরভের বাহিনী। আর আজভস্টল স্টিল কারখানায় এখনো নিয়ন্ত্রণ ধরে রয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে কাদিরভের মন্তব্যের কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
স্থানীয় সময় বুধবার বেশ কিছু বেসামরিক লোকজন ছোট বাসের বহরে বন্দরনগরী মারিওপোল থেকে বেরিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইউক্রেনের মেরিন কমান্ডার সেরহাই ভোলিনা বুধবার জানান স্টিল কারখানায় অবস্থানরত যোদ্ধারা হয়তো খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারবেন না। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ওই কারখানায় প্রায় এক হাজার বেসামরিক আশ্রয় নিয়েছে।
ইউক্রেনের আলোচক মিখাইলো পোদোলিয়াক এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, মারিওপোলের সেনা ও বেসামরিকদের রক্ষায় কোনও শর্ত ছাড়াই বিশেষ দফার আলোচনার জন্য প্রস্তুত কিয়েভ। আটকে পড়া সেনা ও বেসামরিক লোকদের সরে যাওয়ার বিনিময়ে রুশ বন্দিদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।