অবৈধ অভিবাসন

ইউরোপে যাওয়ার পথে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় ৭ বাংলাদেশীর মৃত্যু

প্রকাশ: জানুয়ারি ২৬, ২০২২

বণিক বার্তা ডেস্ক

লিবিয়া থেকে ইউরোপ যাওয়ার পথে মারা গেছেন সাত বাংলাদেশী। ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ইতালির ল্যাম্পেদুসা উপকূল থেকে ওই সাত বাংলাদেশীর মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির কোস্টগার্ড। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল ইতালির আগ্রিজেন্টোর প্রসিকিউটর লুইগি প্যাত্রোনাজিও এক বিবৃতিতে বলেন, নিহতরা প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শরীরের তাপমাত্রা মাত্রাতিরিক্ত কমে যাওয়ার কারণে প্রাণ হারিয়েছেন। যাকে হাইপোথার্মিয়া বলা হয়। এছাড়া ল্যাম্পেদুসার মেয়র তোতো মার্তেলোও বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ইতালির কোস্টগার্ডের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, নিহত সাত বাংলাদেশী ছাড়াও আরো ২৮০ জন অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ল্যাম্পেদুসা থেকে প্রায় ২৭ মাইল দক্ষিণে সারা রাত ভাসতে দেখা যায়। সময় ইতালির কোস্টগার্ড বর্ডার পুলিশ ইউনিট বিপদে পড়া যাত্রীদের উদ্ধারে তত্পর হয়।

কোস্টগার্ড জানায়, উদ্ধারকারীরা যতক্ষণে নৌকার কাছে পৌঁছান ততক্ষণে তিনজন মারা গেছেন। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান আরো চারজন। কাঠের নৌকায় ঠাসাঠাসি করে ওঠা যাত্রীদের বেশির ভাগ অভিবাসী মিসর বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানায় কোস্টগার্ড। বিপদে পড়া অভিবাসীদের উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয় কোস্টগার্ডের তিনটি উদ্ধারকারী নৌকা এবং ইতালির ফাইন্যান্সিয়াল পুলিশ।

ইতালির সরকার জানিয়েছে, প্রথম যখন বিষয়ে জানা যায় তখন ৬৫ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকাটি তিউনিশিয়ার জলসীমায় ছিল। তখন নৌকাটিকে চিহ্নিত করা যায়নি। পরে এটি ইতালির অনুসন্ধান উদ্ধার এলাকায় খুঁজে পায় কোস্টগার্ড।

অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের অন্যতম প্রধান পথ ইতালি। গত বছর প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী ইতালি প্রবেশ করেছেন। তবে গত দুই বছরের তুলনায় বছর দেশটিতে প্রবেশের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট হাজার ৫১ জন দেশটিতে প্রবেশ করেছেন। গত বছর এই দিনে সংখ্যাটি ছিল ৮৭২ জন এবং এর আগের বছর একই সময়ে ছিল ৮৩৫ জন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫