কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা সরকারি খাদ্যগুদামে রাতের অন্ধকারে খাওয়ার অনুপযোগী চাল ঢোকানোর অভিযোগে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আবদুস সালাম তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পাশের রাজিবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিককে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ আদেশের কপি অফিসিয়াল ই-মেইল মারফত পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামে কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো ভালো চাল না ঢুকিয়ে স্থানীয় মিলারদের কাছ থেকে নেয়া খাওয়ার অযোগ্য চাল ঢোকানো হচ্ছিল। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর খাদ্যগুদাম সিলগালা করা হয়। এছাড়া বুধবার তিন সদস্যবিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরেজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ৩০ কেজি ওজনের ১৭৩ বস্তা খাওয়ার অযোগ্য চাল গুদামে ঢোকানো হয়। গুদামে বাইরে তখন ঢোকানোর অপেক্ষায় ছিল ৭৭ বস্তা চাল। এ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদামে ঢোকানো ১৭৩ বস্তা চাল ও আগে থেকে রক্ষিত ১৯ টন চালসহ ১ নং গুদাম সিলগালা করা হয়। আর বাইরে থাকা ৭৭ বস্তা চাল সশস্ত্র আনসারের পাহারায় রাখা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম বলেন, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার কথা শুনেছি। এখন পর্যন্ত চিঠি পাননি, এর বেশি বলতে রাজি হননি তিনি।
রৌমারী খাদ্যগুদামের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রাজিবপুর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, অতিরিক্ত দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান।
এ প্রসঙ্গে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্যনিয়ন্ত্রক মো. আব্দুস সালাম বলেন, তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রৌমারী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে অন্যান্য বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান।