যন্ত্রাংশ সংকটে আবারো বাধায় টয়োটার উৎপাদন

প্রকাশ: জানুয়ারি ২২, ২০২২

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সৃষ্ট খুচরা যন্ত্রাংশের সংকট টয়োটার গাড়ি উৎপাদনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক বিবৃতিতে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে ১১টি কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকবে। খবর এপি।

ফেব্রুয়ারিতে উৎপাদন কমানোর যে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল সেটির সঙ্গে নতুন করে সিদ্ধান্ত যুক্ত হলো। জাপানে থাকা ১৪টি কারখানার আটটিতে বিভিন্ন দিন গাড়ি উৎপাদন বন্ধ থাকবে। সংযোজন লাইনে প্রিয়াস হাইব্রিড লেক্সাসের লাক্সারি মডেলের উৎপাদনও স্থগিত হয়ে যাবে।

যেকোনো গাড়ি তৈরিতে কম্পিউটার চিপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিপ সংকটের কারণে অনেক যন্ত্রাংশের সরবরাহও কমে গেছে। কভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোধে আরোপিত বিধিনিষেধের কারণে জাপানের অভ্যন্তরে বাইরের অনেক কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। তবে বিষয়ে টয়োটা বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

টয়োটার তথ্যানুযায়ী, সর্বশেষ পরিবর্তনের হিসাব অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ৪৭ হাজার ইউনিট গাড়ি কম উৎপাদন হবে। প্রতিষ্ঠানটির গাড়ির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও আগামী মার্চ পর্যন্ত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৯০ লাখ ইউনিট গাড়ি উৎপাদন করতে পারবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্বের অন্যান্য গাড়ি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সংকটের মধ্যে চিপ সংরক্ষণের জন্য চাপ প্রয়োগ করায় সংকট আরো প্রকট হচ্ছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। এক বিবৃতিতে টয়োটা জানায়, চাহিদা অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছে গাড়ি পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সংকটাবস্থার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

কভিড-১৯- যেসব কর্মী সংক্রমিত হয়েছে, টয়োটা পর্যায়ক্রমে তাদের তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানায়, আইচি প্রিফেকচারের টয়োটা সিটিতে থাকা সুতসুমি প্লান্টে চারজন কর্মী সংক্রমিত হওয়ায় সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে একই কারখানার আরেকটি লাইনে ১৪ জন কর্মী করেনায় আক্রান্ত হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চারদিন সেখানকার কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে গাড়ি উৎপাদন শিল্পের পাশাপাশি সমুদ্রপথের যোগাযোগ, জ্বালানি তেল সরবরাহ মাংস প্যাকেটজাত কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হয়। আইএইচএস মার্কিটের অটো সাপ্লাই চেইন প্রযুক্তি বিশ্লেষক মাতেও ফিনি বলেন, যন্ত্রাংশ সরবরাহের যে সংকট চলমান রয়েছে সেটি যে দ্রুত কেটে যাবে এমন কোনো সম্ভাবনা নেই। সংকট খুবই প্রকট এবং এর ফলে প্রতি সপ্তাহে উৎপাদনকারীদের কোটি ডলারের বেশি ব্যয় হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫