দেশজুড়ে করোনা হিরো হিসেবে খ্যাতি পাওয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এবারো নির্বাচিত হয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর তুলনায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হন করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের এ কাউন্সিলর।
খোরশেদ ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। গতকাল ভোট গণনা শেষে দেখা যায় তিনি পেয়েছেন ১৩ হাজার ৭৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন রেডিও প্রতীকের শাহ ফয়েজ উল্লাহ। তিনি পেয়েছেন ১ হাজার ২২ ভোট। অর্থাৎ বিপুল ভোটের ব্যবধানে আরো একবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেন খন্দকার খোরশেদ।
গত বছর দেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে বেশির ভাগ মানুষ যখন কভিডে মৃতদের দাফন বা সত্কার করা নিয়ে ভয় ও সংকোচের মধ্যে ছিল, সে সময় এগিয়ে আসেন কাউন্সিলর খোরশেদ। কভিড-১৯-এ মৃতদের দাফন ও সত্কার করতে নিজে উদ্যোগী হয়ে একটি দল গঠন করেন তিনি। তারা বিনামূল্যে মৃতদের দাফনসহ আনুষঙ্গিক কাজ করতেন। তার এ উদ্যোগ দেশজুড়ে দারুণ প্রশংসিত হয়। খোরশেদ পান করোনা হিরো উপাধি।
কেবল শেষকৃত্যের কাজই নয়, টেলিমেডিসিন, প্লাজমা সংগ্রহ, প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে খাবার বিলি ও ত্রাণসহায়তা কার্যক্রমও সে সময় চালান খোরশেদ। কেবল নিজের ওয়ার্ডেই নয়, গোটা
নারায়ণগঞ্জেই যে কারো প্রয়োজনে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি। এক পর্যায়ে ২০২০ সালের মে মাসে নিজেই আক্রান্ত হয়ে পড়েন খোরশেদ। তবে সে সময়ও থমকে ছিল না তার দলের কাজ।
২০০৪ সাল থেকে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এ কাউন্সিলর। সিটি করপোরেশন হওয়ার আগে থেকেই নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার কবরস্থান ও শ্মশান রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রধান দুই প্রার্থীর একজন হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার কাউন্সিলর খোরশেদের ভাই।