নির্ধারিত সময়ে শুরু হচ্ছে না অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২২। আবারো দেশজুড়ে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আপাতত দুই সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হতে পারে এবারের বইমেলা। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এসব তথ্য জানান। গতকাল তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য বইমেলা স্থগিত করা হয়েছে। বইমেলার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বাংলা একাডেমির। সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই বইমেলা শুরু করা যেত। তবে কত তারিখ থেকে বইমেলা শুরু হতে পারে, সে ব্যাপারেও সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হওয়ার কথা ছিল। এর আগে ১০ জানুয়ারি বইমেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক ড. জালাল আহমেদ জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়েই বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান এ বিষয়ে জানান, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরুর প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বইমেলা দুই সপ্তাহ স্থগিত করা হয়েছে। কবে শুরু হবে, তা পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।
বইমেলা পেছানোর সিদ্ধান্তের কথা শুনতে পেলেও অফিশিয়ালি এখনো চিঠি পাননি বলে জানিয়েছেন মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের বইমেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল বাংলা একাডেমি। স্টল বরাদ্দ শেষে চলছে নির্মাণের কাজও। প্রতি বছর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর নির্ধারিত সময়ে অনুষ্ঠিত হয়নি বইমেলা। দেড় মাস পিছিয়ে ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয় গতবারের বইমেলা। এদিন বেলা ৩টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বইমেলা উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার উদ্বোধনের পরই মেলা উন্মুক্ত হয় সবার জন্য। বেঁধে দেয়া হয় দৈনিক মেলা শুরু ও শেষের সময়সীমাও। মেলা চলার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। কিন্তু করোনার প্রকোপে নির্ধারিত সময়ের দুদিন আগেই শেষ হয় বইমেলা।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পাওয়ায় ১১ দফা বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। বিধি অনুসারে উন্মুক্ত জায়গায় সব ধরনের সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গণজমায়েত ও সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।