অনিশ্চয়তার মধ্যেও বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ: ডিসেম্বর ০১, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পরও মূল্যসূচকে ইতিবাচক চিত্র দেখেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। শুক্রবার জ্বলানি পণ্যটির দামে দরপতন ঘটার পর সোমবার তা পুনরুদ্ধার হয়। ওমিক্রন সংক্রমণের হার নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকার কারণে বিনিয়োগকারীরা পণ্যটির চাহিদার ব্যাপারে এখনো আশাবাদী রয়েছেন। খবর রয়টার্স আরব নিউজ।

সময় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম শতাংশ বা ডলার ৬৬ সেন্ট বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি ব্যারেলে ৭৬ ডলার ৩৮ সেন্ট। শুক্রবারে প্রতি ব্যারেলে ডলার ৫০ সেন্ট কমে যাওয়ার পর পুনরুদ্ধার দেখা যায়। মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম এদিন দশমিক শতাংশ বা ডলার ৩৬ সেন্ট বাড়ে। সময় প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম দাঁড়ায় ৭২ ডলার ৫১ সেন্ট। আগের সেশনে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম কমেছিল ১০ ডলার ২৪ সেন্ট।

তবে দিনের শেষে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের ভবিষ্যৎ বাজারমূল্য দাঁড়ায় ৭৩ ডলার ৪৪ সেন্ট। শুক্রবারের দরপতনের তুলনায় এটি শতাংশ বা ৭২ সেন্ট বেশি। ইউএস ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম শুক্রবারের দামের তুলনায় ডলার ৮০ সেন্ট বা দশমিক শতাংশ বেশি দাঁড়ায়। এদিন শেষ সেশনে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম স্থির হয় ৬৯ ডলার ৯৫ সেন্ট। শুক্রবার ডব্লিউটিআই ক্রুডের চুক্তিমূল্য কমেছিল ১০ ডলার ২৪ সেন্ট।

শুক্রবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দরপতনের ঘটনা ২০২০ সালের এপ্রিলের পর থেকে একদিনে সবচেয়ে বেশি দরপতনের চিত্র। সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া ওমিক্রন সংক্রমণের শঙ্কায় দরপতন দেখা দেয়। চাহিদা কমার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে হলিডে সেশনের কারণে নিম্ন তারল্যের দরুন দরপতন আরো গতি পায়।

আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটের বিশ্লেষক মাইকেল ট্রান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে তেলের দাম তার সর্বনিম্ন স্তরে দরপতনের ঘটনা দেখেছে, যা বর্তমানে নিম্নতর চাহিদার প্রতি ইঙ্গিত প্রদান করে। যদি করোনার ভ্যারিয়েন্ট প্রচলিত ভ্যাকসিনের চেয়ে শক্তিশালী অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় বেশি সংক্রমাক হয়, তবে তা আন্তর্জাতিক ভ্রমণে প্রভাব রাখবে। একই সঙ্গে বিশ্ববাণিজ্য পেট্রোলিয়ামের চাহিদাও এর প্রভাব মারাত্মক আকার ধারণ করবে।

তবে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনার সংকুচিত হবে বলে জানায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রতিদিন ১৬ লাখ ব্যারেল কমে আসবে। মৌসুমি কারণ কভিড-১৯-এর নতুন সংক্রমণের ফলে চাহিদায় নিম্নমুখিতা দেখা যাবে।

ধরনের পূর্বাভাস ওপেক প্লাসের অনেক সদস্যকেই চিন্তার মধ্যে ফেলে দিয়েছে। পরিস্থিতি তৈরি হলে এসব দেশের সাম্প্রতিক সময়ে অর্জিত লাভ আবারো ব্যাহত হবে। ফলে অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হওয়ার পাশাপাশি তেলকূপগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫