মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ড : কিলিং স্কোয়াডের সদস্য আজিজুল গ্রেফতার

প্রকাশ: অক্টোবর ২৩, ২০২১

বণিক বার্তা প্রতিনিধি,কক্সবাজার

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা ও আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে অংশ নিয়েছিলেন ৫ অস্ত্রধারী। হত্যার পেছনে ছিলেন ১৯ জন। পূর্ব পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। 

মুহিবুল্লাহ কিলিং স্কোয়াডের অন্যতম সদস্য আজিজুল হককে গ্রেফতারের পর আজ শনিবার দুপুরে উখিয়ায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য দেন ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এসপি নাঈমুল হক।

এসপি নাঈমুল হক জানান, মাত্র ২ মিনিটে মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডটি ঘটান অস্ত্রধারীরা। ঘটনার দুদিন আগে মরগজ পাহাড়ে কিলিং মিশন নিয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে ১৯ জনকে নির্দেশ দেয়া হয় হত্যাকাণ্ড ঘটাতে, যার মধ্যে ছিলেন ৫ অস্ত্রধারী। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য দেন আজিজুল।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজিজুল হক ছাড়াও জড়িত ছিলেন কুতুপালং ক্যাম্প-১ এর ডি ৮ ব্লকের আব্দুল মাবুদের ছেলে মোহাম্মদ রশিদ প্রকাশ মুরশিদ আমিন ও একই ক্যাম্পের বি ব্লকের ফজল হকের ছেলে মোহাম্মদ আনাছ ও নুর ইসলামের ছেলে নুর মোহাম্মদ। 

আজিজুলের স্বীকারোক্তিমূলক ব্ক্তব্যের বরাত দিয়ে ১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক জানান, রোহিঙ্গাদের নেতা হিসেবে মুহিবুল্লাহ ব্যাপক পরিচিতি পেলে তাকে যেকোনো মূল্যে থামাতে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্ট-ওয়েস্ট (ডি ব্লকে) অফিসে প্রত্যাবাসন বিষয়ে কথা আছে বলে মুহিবুল্লাহকে বাসা থেকে ডেকে আনেন মুরশিদ। তারপর বাকিদের সংকেত দেন তিনি। প্রথমে একটি, তার পরেরজন দুইটিসহ চারটি গুলি করা হয় মুহিবুল্লাহকে। এরপর তার বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যায় কিলিং স্কোয়াডের ৫ অস্ত্রধারী। পরে সবাই সতর্ক হয়ে যায় এবং বিভিন্নজনের ওপর দোষ চাপাতে থাকে। আজিজুল ছাড়াও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মোহাম্মদ ইলিয়াছ নামে একজন।

২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা আগমনের বর্ষপূর্তিতে উত্থান হয় মুহিবুল্লাহর। এদিন তার নেতৃত্বে ৩ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা যোগ দেন মহাসমাবেশ। এরপর তিনি উখিয়া-টেকনাফের ৩২ রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের একচ্ছত্র আধিপত্য নিয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে দক্ষ ছিলেন মুহিবুল্লাহ।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫