যশোর শিক্ষা বোর্ড

আরো আড়াই কোটি টাকার জালিয়াতি ধরা পড়ল

প্রকাশ: অক্টোবর ২৩, ২০২১

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, যশোর

যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে চেক জালিয়াতির মাধ্যমে আরো আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি ধরা পড়লে গোপনে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আরো একটি অভিযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম বর্তমানে চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন সচিব থাকাবস্থায় এসব জালিয়াতি করেছেন। মোট কোটি টাকা চেক জালিয়াতি করে তুলে নেয়া হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বিজনেস আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আয়কর বাবদ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা তুলে নেয়া হয়। একই সালের অক্টোবর যশোর শহরের জামে মসজিদ লেনের নূর এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৯ হাজার ৩৫ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরো কোটি ৪৩ লাখ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলে নিয়েছেন হিসাব সহকারী আবদুস সালাম। একই সঙ্গে সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ৯৪ হাজার ৩১৬ টাকা আবদুস সালামের নিজ নামে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা তুলে নেয়া হয়েছে।

যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের হিসাব নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক জানান, আমরা আরো প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছি। বিষয়ে বৃহস্পতিবার দুদকে আরো একটি অভিযোগ জমা দিয়েছি। বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন বোর্ডের সচিব থাকাবস্থায় প্রথম জালিয়াতি করা হয়েছে। আবদুস সালাম তখন হিসাব শাখার দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে যশোরের রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু এসব জালিয়াতি করেছেন বলে আমরা জেনেছি। এখন দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।

দুদক যশোর কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত জানান, আমাদের কাছে আরো প্রায় আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে।

এর আগে ১৮ অক্টোবর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করে দুদক। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে মামলা করেন।

অভিযুক্তরা হলেন, যশোর মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএমএইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক রাজারহাট এলাকার বাসিন্দা আবদুল মজিদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম বাবু শেখহাটী জামরুলতলা এলাকার শাহীলাল স্টোরের মালিক মৃত সিদ্দিক আলী বিশ্বাসের ছেলে আশরাফুল আলম।

মামলা হওয়ার পর ওই দিন রাতেই চেয়ারম্যান সচিব তাদের বাংলো থেকে বের হয়ে যান। এরপর তারা কেউ অফিসে আসেনি।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র আরো আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জানান, বর্তমানে বোর্ড চেয়ারম্যান আগে যখন সচিব ছিলেন তখন থেকে জালিয়াতি শুরু করেন হিসাব শাখার কর্মচারী আবদুস সালাম তার ব্যবসায়িক পার্টনার।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫