ফেনীতে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রী হত্যার চাঞ্চল্যকর মামলায় স্বামী ওবায়দুল হক টুটুলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ফেনী জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ওবায়দুল হক টুটুল ফেনী শহরের বারাহিপুর এলাকার গোলাম মাওলা ভূঁঞার ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৫ এপ্রিল পারিবারিক কলহের জের ধরে ফেসবুক লাইভে এসে স্ত্রী তাহমিনা আক্তারকে কুপিয়ে হত্যা করেন ওবায়দুল হক টুটুল। ওইদিনই তাহমিনার বাবা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আদালতের একটি সূত্র জানায়, ১৯ অক্টোবর আলোচিত গৃহবধূ তাহমিনা হত্যা মামলার যুক্ততর্ক উপস্থাপন করেন পিপি হাফেজ আহাম্মদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু। যুক্তিতর্ক শেষে গতকাল টুটুলের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর মামলার একমাত্র আসামি টুটুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন ফেনী মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার ইমরান হোসেন।
মামলার বাদী নিহত গৃহবধূর বাবা সাহাব উদ্দিন জানান, আমার মেয়েকে হত্যার ঘটনায় আদালত যে রায় দিয়েছে আমরা এতে সন্তুষ্ট।
আমরা চাই দ্রুত বাকি প্রক্রিয়া শেষ করে পাষণ্ড টুটুলের ফাঁসি কার্যকর করা হোক।