মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে যুক্তরাজ্য নিউজিল্যান্ড

প্রকাশ: অক্টোবর ২২, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছেছে যুক্তরাজ্য নিউজিল্যান্ড। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার পর বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য বিস্তৃতির উদ্যোগ নেয় যুক্তরাজ্য। এরই অংশ হিসেবে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তি করেছে দেশটি। খবর এপি।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অর্ডানের মধ্যে দীর্ঘ ১৬ মাসের আলোচনার পর বুধবার রাতে চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়। যদিও যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যে নিউজিল্যান্ডের অংশ মাত্র দশমিক শতাংশ। তবে ব্রিটেন আশা করে, চুক্তি ট্রান্স-প্যাসিফিক ট্রেড পার্টনারশিপে সদস্য হতে সহায়তা করবে।

জনসন বলেন, যুক্তরাজ্যের জন্য এটি বড় একটি বাণিজ্য চুক্তি। এটি নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বকে আরো দৃঢ় করবে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরো শক্তিশালী করবে। চুক্তি পুরো দেশের বাণিজ্য ভোক্তাদের উপকৃত করবে, রফতানিকারকদের ব্যয় কমাবে এবং আমাদের কর্মীদের সামনে নতুন সুযোগ উন্মুক্ত করবে।

চুক্তিটি নিয়ে অর্ডান বলেন, চুক্তি নিউজিল্যান্ডের সর্বকালের সেরা অর্জনের মধ্যে একটি। এটি আমাদের অর্থনীতির আকার ৭২ কোটি ডলার বাড়িয়ে দেবে। কারণ এটি দেশের ওয়াইন, মাখন, পনির মাংস বিক্রির পথ খুলে দেবে।

চুক্তির সুফল নিয়ে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, নিউজিল্যান্ডের ওয়াইন, মানুকা মধু কিউই ফল ব্রিটিশ গ্রাহকদের জন্য সস্তা হবে। পোশাক, বাস বুলডোজারগুলোও আর শুল্কের মুখোমুখি হবে না। যদিও চুক্তি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রিটিশ কৃষকরা। তারা চুক্তিকে চলতি বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাদের মতে, চুক্তি খাদ্য আমদানিকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আর এটি এমন সময়ে ঘটছে, যখন শ্রমিকের ঘাটতি ক্রমবর্ধমান ব্যয় এরই মধ্যে অনেক ব্রিটিশ কৃষককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

চুক্তিটি নিয়ে জাতীয় কৃষক ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট মিনেট ব্যাটার্স বলেন, চুক্তি আগামী বছরগুলোয় অনেক ব্রিটিশ খাবারের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি আরো ব্রিটিশ খাবার চাওয়া আমাদের জনসাধারণ এবং গ্রামীণ সম্প্রদায়কে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে।

চুক্তিটি যুক্তরাজ্যের কৃষির জন্য ভালো হবেতা পুনরাবৃত্তি করার পরিবর্তে আমাদের সরকারকে এখন ব্যাখ্যা করতে হবে যে, চুক্তিগুলো কীভাবে কৃষি খাদ্য উৎপাদনের ভবিষ্যেক উপকৃত করবে।

চুক্তির কিছু বিবরণ এখনো চূড়ান্ত করা হচ্ছে এবং কর্মকর্তারা আশা করছেন, এটি আগামী বছর কার্যকর হবে। জনসনের কনজারভেটিভ সরকার ব্রেক্সিটের পর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টায় বিশ্বজুড়ে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছানো।

 যদিও প্রচেষ্টায় এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫