ইসলামী ব্যাংক এখন দেশের ব্যাংক খাতের মেরুদণ্ড

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২১

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা দায়িত্ব পালন করছেন দেশের সবচেয়ে বড় আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে। ১৯৮৬ সালে ব্যাংকটির কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। দীর্ঘ ৩৫ বছরের ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়ই কাটিয়েছেন শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিতে। ইসলামী ব্যাংকের জন্ম, বিকাশ থেকে শুরু করে মহীরুহ হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে সম্প্রতি বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন অভিজ্ঞ ব্যাংকার। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাছান আদনান

ইসলামী ব্যাংক কেমন চলছে?

আলহামদুলিল্লাহ, ইসলামী ব্যাংকের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময়েও আমাদের আমানত ২৪ দশমিক ৬২ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আমাদের বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ১৬ শতাংশ। বৈদেশিক রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৫৯ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা ৩৬টি নতুন উপশাখা ২৯০টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট চালু করেছি। এছাড়া আরো ১০টি নতুন শাখা খুলতে যাচ্ছি। বর্তমানে শাখা-উপশাখা-এজেন্ট আউটলেট-এটিএম বুথ মিলিয়ে দেশব্যাপী আমাদের ইউনিট সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রথমবারের মতো আমরা দেশের বাইরেও শাখা প্রতিনিধি অফিস খুলতে যাচ্ছি। সেলফিন নামের মোবাইল অ্যাপ, ডুয়াল কারেন্সি কার্ড, ক্যাশ-বাই-কোডসহ নিত্যনতুন সেবা আমরা চালু করছি।

দেশের বৃহৎ ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনের অনুভূতি কী?

বাংলাদেশের বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইসলামী ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার জন্য একই সঙ্গে সৌভাগ্য দায়িত্ব অনুভূতি নিয়ে কাজ করার বিষয়। ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা আমার পূর্বসূরিরা কল্যাণমুখী ইসলামী ব্যাংকিং ধারা প্রতিষ্ঠিত করার মাধ্যমে গণমানুষের সামষ্টিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। তাদের দেখানো ধারাকে সর্বতোভাবে সামনে এগিয়ে নেয়াই আমার লক্ষ্য। দায়িত্ব পালনের সুযোগ পাওয়ায় অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ, শেয়ারহোল্ডার, উদ্যমী কর্মী বাহিনী শুভানুধ্যায়ী সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।

আপনার ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের পুরোটা সময়জুড়েই ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের শৈশব, কৈশোর পুরোটাই আপনার জানা। ইসলামী ব্যাংক বর্তমানে যে অবস্থানে আছে, এটিকে আপনি কোন কাল বলবেন?

১৯৮৬ সালের মার্চে যখন আমি ব্যাংকে যোগ দিই, তখন ইসলামী ব্যাংকের প্রবৃদ্ধি, ক্যারিয়ারসহ অনেক কিছুই ছিল অনিশ্চিত। কিন্তু একদল দূরদর্শী মানুষের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টায় মাত্র দুই দশকের মধ্যে ব্যাংক প্রায় সব ধরনের ব্যবসায়িক সূচকে দেশের ব্যাংক খাতের শীর্ষস্থানে উঠে আসে। বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে ১০ বছর ধরে বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায়ও ইসলামী ব্যাংক স্থান পেয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের ব্যাংকিং খাতের মেরুদণ্ড হয়ে উঠেছে ইসলামী ব্যাংক। নিঃসন্দেহে এগুলো একটি প্রতিষ্ঠানের পূর্ণতার লক্ষণ। কিন্তু আরো বহু পথ সামনে যেতে চাই এবং তার জন্য আমরা অদম্য শক্তি নিয়ে প্রস্তুত। তাই আমি বলব, ইসলামী ব্যাংকের এখন পূর্ণ যৌবনকাল চলছে।

আগামী পাঁচ বছরে আপনারা কোথায় যেতে চান?

বাংলাদেশের মানুষকে ইসলামী ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা আমাদের লক্ষ্য। আগামী কয়েক বছরে আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচির আওতায় আনতে চাই। দেশের বেকারত্ব হ্রাসে আরো নতুন শ্রমঘন শিল্প স্থাপন এবং প্রতিটি সম্ভাবনাময় এসএমই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার জন্য আমরা হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। আমাদের সেলফিনসহ আধুনিক আর্থিক সেবাগুলোকে দেশ প্রবাসের প্রত্যেক বাংলাদেশীর হাতে তুলে দিতে চাই। শিগগিরই সৌদি আরবে শাখা দুবাইয়ে প্রতিনিধি অফিস চালু করার মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক পরিসরে যাচ্ছি। আগামী কয়েক বছরে আমরা রেমিট্যান্সের উৎস প্রতিটি দেশে শাখা খুলতে চাই। বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় আমাদের অবস্থানকে প্রথম ৫০০-এর মধ্যে নিয়ে যেতে চাই।

দীর্ঘমেয়াদে ব্যাংকের ভবিষ্যৎ কী?

প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসলামী ব্যাংকের ভবিষ্যৎ অত্যন্ত সম্ভাবনাপূর্ণ। প্রতি পাঁচ বছরে ব্যাংকের ব্যবসায়িক পরিধি দ্বিগুণ হয়। ইসলামী ব্যাংকের সাফল্যের ধারায় দেশের ইসলামিক ব্যাংকিং খাত বিকশিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের ২৭ শতাংশ মার্কেট শেয়ার ইসলামিক ব্যাংকিং খাতের হাতে আছে। ইসলামী ব্যাংক দেশের আর্থিক খাতকে কল্যাণমুখী ইসলামী পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ভবিষ্যতে একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার যোগ্যতাও ব্যাংকটি অর্জন করতে যাচ্ছে। আমরা দেশের বাইরে শ্রীলংকা নাইজেরিয়ায় ইসলামিক ব্যাংক স্থাপনে টেকনিক্যাল সহায়তা দিয়েছি। বিদেশে শাখা বিস্তারের মাধ্যমে আমরা ইসলামী ব্যাংককে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে যাচ্ছি। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যাংক একদিন বাংলাদেশভিত্তিক একটি সফল আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।

ইসলামী ব্যাংকের হাত ধরে বাংলাদেশে ইসলামী ধারার ব্যাংকিংয়ের সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে দেশের এক-চতুর্থাংশ ব্যাংকিং ইসলামী ধারার নিয়ন্ত্রণে। ধারার অন্য ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ইসলামী ব্যাংকের মৌলিক স্বাতন্ত্র্য কোথায়?

আমরা বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ায় ইসলামী ব্যাংকিংয়ের প্রবর্তক। দেশে নতুন ইসলামিক ব্যাংকগুলোর প্রতিষ্ঠা, প্রচলিত ব্যাংকের পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ব্যাংকিংয়ে রূপান্তর এবং ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা উইন্ডো খোলাকে আমাদেরই সাফল্য বলে মনে করি। আমরা শুধু শরিয়াহ কমপ্লায়েন্স হওয়া নয়, শরিয়াহর উদ্দেশ্য অর্জন তথা বৃহত্তর জনকল্যাণেও কাজ করছি। দক্ষ নৈতিকতাসম্পন্ন জনশক্তি আমাদের সবচেয়ে বড় সমপদ। আমরা সমন্বিত উন্নয়ন পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ইসলামী ব্যাংকিংয়ের অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিগুলোর বেশি প্রচলন ঘটাতেও আমরা কাজ করছি।

ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি বেতন কাঠামো নিয়ে কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। ব্যাংকের কর্মীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পরিমাণও সন্তোষজনক নয়। কর্মীদের অসন্তোষ কমাতে কী উদ্যোগ নিচ্ছেন?

ইসলামী ব্যাংক একটি মানবিক ব্যাংক। এখানে সবসময় কর্মীদের বিষয়গুলো সদয়ভাবে বিবেচনা করা হয়। বিগত বছরে ব্যাংক খাতে এক অংকের মুনাফা নীতি চালু করায় ব্যাংকের আয়ে প্রভাব পড়েছে। এর সঙ্গে করোনা সংকটের মধ্যে অনেক ব্যাংক বেতন-ভাতা কমিয়েছে, কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু ইসলামী ব্যাংক কোনো নেতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি। সময়েও ব্যাংকের কর্মীদের উৎসাহ বোনাস দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির কিছু উন্নতি হলে কর্মীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়টি সক্রিয় বিবেচনায় রয়েছে।

প্রতিষ্ঠার প্রায় চার দশকে দেশের অর্থনীতিতে ইসলামী ব্যাংকের অবদানকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

৩৮ বছর তথা চার দশকের পথচলায় ইসলামী ব্যাংক যেমন নিজে প্রসারিত হয়েছে তেমনি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, শিল্পায়ন, প্রবাসী সেবা, গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন প্রভৃতির মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অনবদ্য অবদান রেখেছে। ব্যাংকের বিনিয়োগে দেশে প্রায় ৮০ লাখের বেশি মানুষের প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশের তৈরি পোশাক খাতের ভিত্তি তৈরি হয়েছে আমাদের ব্যাংকের বিনিয়োগের মাধ্যমে। বর্তমানে দেশে ছয় হাজারের বেশি শিল্প-কারখানা দুই হাজারের বেশি কৃষিভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগের ১৭ শতাংশ এককভাবে ধারণ করে ইসলামী ব্যাংক গড়ে তুলেছে তিন লাখ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইসলামী ব্যাংক লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকার আমদানি লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য করে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য অর্থায়নে নেতৃত্ব দিয়েছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে প্রবাসীদের অবিচল আস্থা অর্জন করেছে ব্যাংক। এককভাবে দেশের এক-তৃতীয়াংশ রেমিট্যান্স আহরণকারী ইসলামী ব্যাংকে রয়েছে শক্তিশালী সেন্ট্রাল রেমিট্যান্স প্রসেসিং সিস্টেম। আমরা বলতে পারি, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইসলামী ব্যাংক যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ইসলামী ব্যাংকের উদ্যোগ কী?

বাংলাদেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে ইসলামী ব্যাংকই প্রথম আর্থিক সেবার আওতায় নিয়ে এসেছে। ব্যাংক ১৯৯৫ সাল থেকেই গ্রামের দরিদ্র মানুষ কৃষকদের জন্য ১০ টাকায় হিসাব খোলার সুযোগ তৈরি করেছে। গ্রামীণ দারিদ্র্য বিমোচনে ইসলামী ব্যাংক ওই বছরই চালু করে পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিএস), যা বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি। এতে সমন্বিত উন্নয়ন অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে জামানতমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ পরামর্শ প্রদান, শিশু গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, টিউবওয়েল স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপন, চক্ষুশিবির, খতনা কার্যক্রম, মেয়ের বিয়ের জন্য অনুদান, বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।

প্রকল্পটি বর্তমানে দেশের ২৬ হাজার গ্রামে বিস্তৃত। ২০১২ সাল থেকে এটি নগর দরিদ্রদের জন্যও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ১৩ লাখের বেশি প্রান্তিক পরিবার প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হয়েছে। ৯৬ শতাংশ নারী সদস্যের মাধ্যমে কাজ করা প্রকল্প দেশে নারীর ক্ষমতায়নেও পালন করছে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সিডর-দুর্গত এলাকায় ইসলামিক ডেপেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি) গৃহীতফায়েল খায়েরপুনর্বাসন প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে জনশক্তি দিয়ে বাস্তবায়ন করেছে ইসলামী ব্যাংক। ২০২০-২১ মৌসুমে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারের দেয়া প্রণোদনা অর্থের বৃহত্তম অংশও আমাদের ব্যাংক বিতরণ করেছে।

ইসলামী ব্যাংকের আমানতের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ শতভাগ মুনাফামুক্ত। কিন্তু কখনো মুনাফা ছাড়া আপনারা কাউকে ঋণ দিয়েছেন বলে শুনিনি। মুনাফামুক্ত আমানত কোথায় বিনিয়োগ করছেন?

ব্যাংকের চলতি হিসাবের আমানত ডিমান্ড লায়াবিলিটির বিপরীতে মুনাফা দিতে হয় না। এটা ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রমেরই অংশ। অর্থও ব্যাংক স্বাভাবিক বিনিয়োগ কার্যক্রমেই অন্তর্ভুক্ত করে। তবে ইসলামী ব্যাংক ছোট পরিসরে হলেও মুনাফামুক্ত ঋণ বা কর্জে হাসানা প্রদান করে। মাইক্রোফাইন্যান্স সদস্যদের টিউবওয়েল স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য ঋণ দেয়া হয়। প্রকল্প এলাকার সদস্যবহির্ভূত অতিদরিদ্র মানুষকেও কর্জে হাসানা দেয়া হয়। এছাড়া টার্ম ডিপোজিট মাসিক জমা স্কিমের গ্রাহকরাও জরুরি প্রয়োজনে ঋণ নিতে পারেন।

ইসলামী ব্যাংকে থাকা গ্রাহকদের আমানতের পাশাপাশি আপনাদের করা বিনিয়োগ কতটা সুরক্ষিত?

ইসলামী ব্যাংকিংয়ের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অ্যাসেট ব্যাকড বিনিয়োগ, যা প্রচলিত ব্যাংকঋণের চেয়ে বেশি সুরক্ষিত। টাকার পরিবর্তে পণ্য আকারে বিনিয়োগ হয় বলে এখানে ফান্ড ডাইভার্শনের সুযোগ থাকে না। ইসলামী ব্যাংক ফাটকাবাজি বা জুয়া পর্যায়ের কোনো বিনিয়োগ করে না। ডেরিভেটিভসের মাধ্যমে ঋণের বাবলও তৈরি করে না। নিড-বেজড ব্যাংকিং বা সমাজের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে এবং গ্রাহকের সততা পূর্ব রেকর্ড, উদ্যোগের প্রাসঙ্গিকতা, জামানতের যথার্থতা ইত্যাদি অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করেই ইসলামী ব্যাংক বিনিয়োগ প্রকল্প বাছাই করে। তাই ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ ঝুঁকি সবসময়ই সর্বনিম্ন থাকে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫