দেশের ১১ জন সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সম্পাদক পরিষদ। গতকাল সংগঠনটির সভাপতি মাহফুজ আনাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্পাদক পরিষদ মনে করে, প্রচলিত আইনে কোনো ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত হতে পারে। কিন্তু শুধু একটি পেশার ১১ জন শীর্ষ নেতার ঢালাওভাবে ব্যাংক হিসাব তলব উদ্দেশ্যমূলক, যা অতীতে কখনো কোনো সময়ে কোনো পেশার ক্ষেত্রেই ঘটেনি। এ ধরনের ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতা পেশার ওপর চাপ ও হুমকি বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।
সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সাংবাদিকদের শীর্ষ চার সংগঠনের ১১ নেতার ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ব্যাংকগুলোকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে যেসব অ্যাকাউন্ট পরিচালিত হচ্ছে, তার সবগুলোর লেনদেনের যাবতীয় তথ্য পাঠাতে হবে। শুধু বর্তমানে নয়, অতীতেও এসব ব্যক্তির নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে তার বিবরণী জমা দিতে হবে। বিবরণীর মধ্যে থাকবে হিসাব খোলার ফরম, ট্রানজেকশন প্রোফাইল, কেওয়াইসিসহ সবকিছু।
এদিকে, জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের নির্বাচিত নেতাদের ব্যাংক হিসাব বিবরণী চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া চিঠিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাব এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) কার্যনির্বাহী কমিটি। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাব ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢালাও ব্যাংক হিসাব তলবে সাংবাদিক সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, এমনকি নজিরবিহীনভাবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে।