যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলোর ঘুম হারাম করে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে চীনের ’অপ্রতিরোধ্য’ অগ্রযাত্রা। বিশেষ করে এশিয়া মহাদেশে। এ অবস্থায় চীনকে ঠেকাতে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার যৌথ অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দেশ ৩টির সরকার প্রধান। বিবিসি জানিয়েছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার ঠেকাতেই এ নিরাপত্তা চুক্তি। আউকআস নামে এ চুক্তির আওতায় অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরিতে সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, কোয়ান্টাম প্রযুক্তি এবং সাইবার বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা করবে চুক্তিবদ্ধ দেশগুলো।
এ ঘোষণার পর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিবেশি দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা অ্যাডার্ন জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়াকে সাবমেরিন চলাচলে তাদের জলসীমা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডের জলসীমায় পারমাণবিক নৌযান চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা বহাল থাকবে।
এদিকে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। নিন্দা জানিয়ে দেশটি এ উদ্যোগকে চুড়ান্ত দায়িত্বহীন এবং সংকীর্ণ মানসিকতা বলে মন্তব্য করেছে। বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করবে এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতা বাড়িয়ে তুলবে। এটা একটা অঘোষিত স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতা।
এঘটনার পর চীন যদি তাইওয়ান নিয়ন্ত্রণে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে তাহলে চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্যের করণীয় কী, বরিস জনসনের উদ্দেশ্যে এমন প্রশ্ন তুলেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে।