দেশের তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ হাসান প্রথমে কাজ শুরু করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস ওডেস্কে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) সেবা দেয়ার মাধ্যমে শুরু করেছিলেন ফ্রিল্যান্সিং জীবনের।
ছোট একটি টিম নিয়ে যাত্রা করে মার্কেটপ্লেসের বাইরেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের কাজ করছেন বিজকোপের প্রতিষ্ঠাতা নাহিদ হাসান।
বিজকোপের ডিজিটাল মার্কেটিং সেবার শুরুটা মার্কিন ক্লায়েন্ট দিয়ে হলেও ধীরে ধীরে সেটা পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত বিস্তৃতি পায়।
শুরুতে শুধু ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস দিলেও ধীরে ধীরে সার্ভিসের পরিধি বাড়িয়েছেন।
বর্তমানে ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বিজনেস কনসালট্যান্সি, অ্যাকাউন্টিং সলিউশন, ভিডিও কনটেন্ট প্রডাকশন, ইমেজ প্রসেসিংসহ আরো বেশকিছু সার্ভিস যুক্ত হয়েছে।
২০১৭ সালে এসে রকমারির সঙ্গে কাজ শুরু করেন, যা ছিল বিজকোপের প্রথম বাংলাদেশের ক্লায়েন্ট।
এরপর সেবা দিয়েছেন আরো অনেক দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে, যার মধ্যে আছে পেওনিয়ার ইঙ্ক, বিক্রয় ডট কম, ফেয়ার গ্রুপ, এস এস স্টিলসহ আরো পাঁচ শতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
নাহিদ হাসান বলেন, বিজকোপের লক্ষ্য হচ্ছে সার্ভিসের মধ্যে নতুন নতুন ইনোভেশন যুক্ত করা।
বাংলাদেশের পণ্য এবং সেবার মান খুবই ভালো এবং বহির্বিশ্বে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
কিন্তু সঠিক মার্কেটিংয়ের অভাবে তা বিশ্বের বাজারে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আমরা কাজ করছি দক্ষ টিম তৈরি করতে, যারা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের ব্র্যান্ডগুলোকে বিশ্বের বাজারে এগিয়ে নিতে কাজ করছে।
এছাড়া বিজকোপ একাধিক বৈশ্বিক ব্র্যান্ডকে বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত করতে সহায়তা করছে।
বর্তমানে বিজকোপ উত্তর আমেরিকা, পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপের ৩০টির বেশি দেশে তাদের সেবা সম্প্রসারিত করেছে ও ধীরে ধীরে এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।