দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় কভিডে আক্রান্ত হয়ে আরো ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে প্রায় সাত হাজার। এ নিয়ে দেশে মোট কভিডে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৮৬১। আর আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে মোট ২৪ হাজার ৩৪৯ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৩ হাজার ১৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৬ হাজার ৯৫৯ জনের কভিড শনাক্ত হয়। নমুনা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এর আগের দিন নতুন পরীক্ষায় শনাক্তের হার ছিল ২০ দশমিক ২৫ শতাংশ।
বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৭০ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৩৭, রাজশাহীতে ১৭, খুলনায় ১৯, বরিশালে সাত, সিলেটে ছয়, রংপুরে সাত ও ময়মনসিংহে ১১ জন মারা গেছেন।
নারী ও পুরুষের হিসাবে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯০ জন পুরুষ ও ৮৪ জন নারী। এর মধ্যে বাসায় মারা গেছে চারজন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছে। মোট মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষ ১৬ হাজার ৩৩ ও নারী ৮ হাজার ৩১৬ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২৪ ঘণ্টায় ৯৬ জন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি মারা গেছেন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৪১, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ২১, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১২, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৩ ও ১১ থেকে ২০ বছরের একজন মারা গেছেন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত বছরের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারে গত জুন থেকে রোগীর সংখ্যা হুহু করে বেড়ে ১৪ লাখ পেরিয়ে যায় ১৩ আগস্ট। তার আগে ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১৫ আগস্ট তা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৫ ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যা। বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ৪৩ লাখ ৬১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর শনাক্ত হয়েছে ২০ কোটি ৭১ লাখের বেশি রোগী।