দিলীপ কুমারের বাংলা ছবি

প্রকাশ: জুলাই ৩১, ২০২১

ফিচার ডেস্ক

হিন্দি ভাষার বাইরে জীবনে একটি ছবিই করেছিলেন দিলীপ কুমার। আর সেটি বাংলা সিনেমাতপন সিনহার সাগিনা মাহাতো। ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছেন এক শ্রমিক নেতার ভূমিকায়, যিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হন।

১৯৪০-এর দশকে দার্জিলিংয়ে চা বাগানে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত গল্পে তপন সিনহা নির্মাণ করেই সাগিনা মাহাতো। ছবিতে অভিনয় করেন দিলীপ কুমার, সায়রা বানু অনিল চ্যাটার্জি। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। এর চার বছর পর ছবিটির হিন্দি রিমেক সাগিনা মুক্তি পায়। এতেও ছিলেন দিলীপ কুমার।

১৯৬৭ সালের হাটে বাজারে পরের বছর আপনজন ছবির মাধ্যমে আলোচিত হন নির্মাতা তপন সিনহা। এক সাধারণ বন্ধুর মাধ্যমে তপন সিনহা দিলীপ কুমারের সঙ্গে দেখা করেন। ২০০৯ সালে সেই সাক্ষাতের কথা স্মরণ করে দিলীপ কুমার বলেন, তিনি একটি ছবির গল্প নিয়ে এসেছিলেন। তার নম্র, বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ আমাকে তার ছবির প্রতি আগ্রহী করে। তিনি মুম্বাইয়ে অবস্থানকালে বেশ কয়েকবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। তার সঙ্গে যতই ভাবনার আদান-প্রদান হয় ততই আমি বুঝতে পারি যে তার সঙ্গে আমার কাজ করা উচিত।

১৯৭০ সালের সাগিনা মাহাতো ছিল সাদা-কালো ছবি। বাংলা ছবির বিভাগে ছবিটি ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছিল। ছবিটি নির্মিত হয়েছিল গৌড় কিশোর ঘোষের একই নামের ছোটগল্প অবলম্বনে। ছবিতে একজন কমিউনিস্ট নেতাকে দেখা যায় মালিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শ্রমিকদের সংগঠিত করতে। ১৯৭৪ সালের হিন্দি রিমেকটি ছিল রঙিন ছবি, তবে তাতে মূল ছবির রাজনৈতিক গল্পটিকে কিছুটা হালকা করে ফেলা হয়েছিল।

দিলীপ কুমার পরবর্তী সময়ে এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, পরিচালক তপন সিনহা তাকে কাজের স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। অনেক সংলাপ বলার ক্ষেত্রে দিলীপ তার নিজস্ব স্টাইলকে কাজে লাগিয়েছিলেন, যা মূল গল্পের অনুগামী ছিল না। এবং ধারণা করা হয়, কারণেই সিনেমায় দারুণ কিছু দৃশ্যের জন্ম হয়েছিল।

 

সূত্র: স্ক্রলইন


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫