অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যায়ের শিল্প খাত (এমএসএমই) বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি। বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশ ব্যবসা করে এ খাত। বহু দেশে প্রায় ৮০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়
এ খাত থেকে। এর পরও জাতিসংঘের ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন ক্লাইমেট চেঞ্জ (ইউএনএফসিসিসি) প্রক্রিয়ায় এ খাতের উপস্থিতি শক্তিশালী নয়। ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের (আইসিসিবি) ত্রৈমাসিক বুলেটিনে এসব বলা হয়েছে।
আইসিসিবি বলছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জলবায়ু কার্যক্রমকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এক দশকেরও বেশি সময় আগে উন্নত দেশগুলো যৌথভাবে ২০২০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার একত্রিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে জাতিসংঘের মতে ১০০ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না। যদিও জলবায়ু অর্থায়ন ঊর্ধ্বমুখীর পথে। সুতরাং এখনো অর্থের একটি বড় ঘাটতি রয়েছে।
এ উদ্বেগজনক অবস্থায় আসন্ন ইউএনএফসিসিসি কপ-২৬ -এ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিবেচনা করতে হবে। পুরো সমাজে বর্তমান সময়ে ও দীর্ঘমেয়াদে কীভাবে পরবর্তী কার্যক্রম যুক্ত করা যায়, গ্লাসগো সম্মেলনে প্যারিস চুক্তির পাঁচ বছরের পর্যালোচনা করতে হবে। সে অনুযায়ী, সরকারগুলোর সমন্বিত উচ্চাকাঙ্খকে বাস্তবায়নের সুযোগ রয়েছে।
আইসিসিবি এ বিষয়ে বেশকিছু প্রস্তাব দিয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, সরকার এমএসএমইগুলোকে উপযুক্ত জলবায়ু প্রশমন ও অভিযোজনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে উৎসাহিত করবে। এনডিসিগুলোর উদ্ভাবনের জন্য নমনীয় ভালো অভ্যাস গড়ে তুলবে, যাতে মহামারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করতে পারে।