করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি কিংবদন্তি গণসংগীত শিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা ফকির আলমগীর। তার স্ত্রী সুরাইয়া আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল দুপুরে সুরাইয়া আলমগীর জানান, ফকির আলমগীরের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসকরা আগেই জানিয়েছেন, তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। ফলে ফুসফুসের অনেকটা সংক্রমিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সকালে ফকির আলমগীরের জন্য জরুরি প্লাজমা প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এরই মধ্যে এ পজিটিভ প্লাজমার দুজনকে পাওয়া গেছে।
দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে সুরাইয়া আলমগীর বলেন, ফকির আলমগীর দেশের সম্পদ। তাকে কখনো মিথ্যা বলতে দেখিনি। করোনার ভ্যাকসিন নেয়ার পরেও তিনি আক্রান্ত হলেন। তাকে আইসিইউতে এভাবে দেখে কষ্ট লাগছে। দেশের সব মানুষের কাছে তার সুস্থতা কামনায় দোয়া চাইছি। দয়া করে আমার এ আহ্বানটি সবার কাছে পৌঁছে দেবেন।
বুধবার ফকির আলমগীরের করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্ট ‘পজিটিভ’
আসে। এরপর থেকে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে তার জ্বর ও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকির আলমগীরের জন্ম ১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ফরিদপুরের সন্তান আলমগীর দেশব্যাপী পরিচিত গণসংগীত শিল্পী হিসেবে। দেশীয় গণসংগীত ও পপসংগীতে রয়েছে তার ব্যাপক আবদান। তিনি ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা। ও সখিনা গেছস কিনা ভুইলা আমারে, নাম তার ছিল জন হেনরি তার উল্লেখযোগ্য গান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় এমএ পড়াশোনার সময়েই জড়িয়ে যান ছাত্ররাজনীতিতে। ৬৯-এ গণ-অভ্যুত্থানে রয়েছে তার বিশেষ ভূমিকা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন শব্দ সৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে যোগ দেন ফকির আলমগীর।