দেশে করোনা মহামারী প্রতিরোধে
আসন্ন কোরবানিকে সামনে রেখে দ্বিতীয়বারের
মতো চালু হওয়া ডিজিটাল
হাট থেকে স্থানীয় সরকার
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রথম
ক্রেতা হিসেবে গরু কিনেছেন।
রোববার
ভার্চুয়াল এক সভার মাধ্যমে
কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাট
উদ্বোধন করা হয়েছে।
অনলাইন থেকে মন্ত্রীকে গরু
কিনতে কারিগরি বিষয়ে সহযোগিতা করেন
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সভাপতি ঢাকা উত্তর
সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
স্থানীয়
সরকার মন্ত্রী বলেন, ডিএনসিসির ডিজিটাল
হাট থেকে সবাইকে গরু
কিনতে উদ্বুদ্ধ করতে আমি এই
গরু কিনলাম। মেয়র
আতিকুল ইসলাম জানান ২০২০
সালে প্রথম ডিজিটাল হাটে
তিন সপ্তাহে ২৭ হাজার গরু
কেনাবেচা হলেও এবার তার
তিনগুণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা
রয়েছে।
এদিকে
ডিজিটাল হাটের মাধ্যমে মন্ত্রীর
কেনা গরুটি বিক্রি হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ থেকে। তার
দাম ১ লাখ ৪৮
হাজার ৭৫০ টাকা।ওজন ৩৫০ কেজি,
আর এটি ৪ দাঁতের
বাদামি রংয়ের।
জানা গেছে, এবারের ডিজিটাল
হাটে ই-ক্যাব এবং
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশন
(বিডিএফএ) অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের খামারিরা পশু বিক্রি করতে
পারবেন।
ডিজিটাল
কোরবানির হাট বসানোর জন্য
এরইমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
করেছে ঢাকা উত্তর সিটি
করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এজন্য
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব
বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও
বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের
(বিডিএফএ) সঙ্গে একটি চুক্তি
অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হাটের
ওয়েব ঠিকানা www.digitalhaat.net। ক্রেতার
আর্থিক নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের
সহায়তার সাময়িক স্ক্রো (ESCROW) সেবা
ব্যবহার করা হবে।
ডিজিটাল
হাটের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া কোরবানির
পশু জবাইয়ের স্থান নির্ধারণ, পশু
সংরক্ষণের নিরাপত্তা প্রদান, পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষায়
পশু চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়গুলো ডিএনসিসি নিশ্চিত করবে। ডিএনসিসি,
ই-ক্যাব ও বিডিএফএর
যৌথ ব্যবস্থাপনায় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়,
তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ও এটুআইয়ের
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিজিটাল পশুর হাট বসেছে।
ই-ক্যাব জানায়, পশু
ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে
দেওয়া হয়েছে। এতে
পশু বিক্রির কী কী নিয়ম
মানতে হবে, কী কী
তথ্য থাকতে হবে তা
উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া
গ্রাহককে সময়মতো কোরবানির পশু
দিতে না পারলে সেসব
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা
হয়েছে। তবে
এই প্লাটফর্মে ই-ক্যাব এবং
বিডিএফএ’র অনুমোদিত সদস্যের
প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে
পারবে।
এছাড়াও
জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি
করতে পারবে। ক্রেতার
নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে
এ ধরনের রক্ষণশীল কৌশল
রাখা হয়েছে।