আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে মাত্র ১০ হাজার জাপানি দর্শককে মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেয়া
হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পক্ষ থেকে মাঠে খেলা দেখার বিষয়ে সতর্ক করা
হয়েছে অলিম্পিক কমিটিকে। খবর বিবিসি।
এর আগে বিদেশি দর্শকদের মাঠে খেলা দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আয়োজকরা।
কেবল দেশীয় ক্রীড়াপ্রেমীরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন বলে জানানো
হয়। সেক্ষেত্রে
দর্শকের সংখ্যা মাঠের ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি
হবে না বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রকরা।
এদিকে, মাঠে বসে খেলা দেখতে পারলেও স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে
যাচ্ছে আয়োজক কমিটি। মাঠে খেলা দেখার ক্ষেত্রে চিৎকার, উচ্চস্বরে কথা বলার অনুমতি নেই দর্শকদের। পাশাপাশি মাঠে থাকাবস্থায়
পুরোটা সময় মুখে মাস্ক পরে থাকতে হবে তাদের।
আগামী
২৩ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের অলিম্পিক আসর। এর এক মাস পরে আগামী ২৪ আগস্ট
থেকে শুরু হচ্ছে প্রতিবন্ধীদের জন্য আয়োজিত আসর প্যারাঅলিম্পিক।
এক
যৌথ বিবৃতিতে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) এবং ইন্টারন্যাশনাল
প্যারালিম্পিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আগামী ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে প্যারাঅলিম্পিকের দর্শক সংখ্যাও নির্ধারণ করা হবে।
দর্শকদের
মাঠে খেলা দেখার সিদ্ধান্তটি এমন সময়ে এসেছে যখন এক সপ্তাহ আগে এ বিষয়ে প্রতিবেদন
প্রকাশ করে জাপানের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। প্রতিবেদনে বলা হয়, দর্শকশূন্য আয়োজন সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ।
টোকিও
২০২০ এর আয়োজক কমিটির সভাপতি সিকো হাশিমোতো বলেছেন, দেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে দর্শকশূন্য খেলা আয়োজনের অনেক নজির রয়েছে।
অসংখ্যবার অনুশীলন এবং সরকারের বেঁধে দেয়া শর্তের ভিত্তিতেই আমরা
দর্শকদের নিয়ে খেলার আয়োজন করতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।
টোকিও
২০২০ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, আসরের
আমন্ত্রিত অতিথি এবং স্পন্সররা আয়োজক হিসেবে গণ্য হবেন। তারা ওই ১০
হাজার দর্শকের আওতায় পড়বেন না।