কুয়েতের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল বলেই মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
তবে বিষয়টি ত্বরান্বিত করতে তেলনির্ভর এ দেশটির উচিত হবে এখন তেলবহির্ভূত খাতের কর্মকাণ্ড বাড়ানো।
কারণ ওপেক প্লাস তেল সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
তাছাড়া কভিড-১৯ মহামারীর কারণে এ খাতে পুনরুদ্ধারও হচ্ছে ধীরে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের নতুন প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
খবর অ্যারাবিয়ান বিজনেস।
জ্বালানি তেলবহির্ভূত খাতের জিডিপি ধীরে ধীরে বাড়ছে, সে হিসাবে ২০২২ সালের আগে প্রাক-মহামারীর স্তরে ফেরার সম্ভাবনা নেই।
ইকোনমিক ইনসাইট রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, কুয়েতের প্রত্যাশিত ২ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর খাতটি প্রভাব ফেলবে।
২০২১ সালে তেলবহির্ভূত অর্থনীতিতে ৩ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল।
২০২২ সালে তা হবে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ স্কট লাইভমোর বলেন, কুয়েতের অর্থনীতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।
করোনাভাইরাসজনিত মহামারী ও তেলের দাম কমে যাওয়া, এ দুটিই ছিল তাদের জন্য বেশ বড় ধাক্কা।
যা সরকারের ২০২০ সালের ভারসাম্য অবস্থার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
মহামারী বিশ্বব্যাপী তেলের বাজারকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
উপসাগরীয় দেশগুলোর জিডিপি ৮ শতাংশ কমে গেছে।
১৯৯১ সালের যুদ্ধের পর এটাই সবচেয়ে খারাপ সময়।
অন্যদিকে কুয়েতের সামগ্রিক জিডিপির অর্ধেকই তেলের ওপর নির্ভরশীল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ওপেক প্লাসের চুক্তি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থার উন্নতি হবে না।
আইসিএইডব্লিউর আঞ্চলিক পরিচালক মিশেল আমস্ট্রং বলেন, কুয়েতের তেলনির্ভরতা অবশ্যই এর বৈচিত্র্যমূলক প্রচেষ্টায় বাধা দেবে।
এখন সরকার কত ভালোভাবে তাদের তেলবহির্ভূত খাতের কার্যক্রম বাড়িয়ে তুলেতে পারে, তার ওপর নির্ভর করবে কত দ্রুত দেশটির অর্থনীতির পুনরুদ্ধার হবে।
২০৩৫ সালের মধ্যে কুয়েত আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক ও বাণিজ্যের কেন্দ্র হয়ে উঠতে চায়।
ফলে তাদের সেকথা মাথায় রেখেই এগোতে হবে।
কুয়েত তাদের কর্মক্ষেত্রে নিজ দেশের নাগরিকদের আধিক্য বাড়াতে কাজ করছে।
প্রবাসী শ্রমিকের পরিমাণ ৬৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করতে চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।