‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে অঞ্চলভেদে ৫০-৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদের কৃষিযন্ত্র দেয়া হচ্ছে। এটি সারা বিশ্বের একটি বিরল ঘটনা। তবে সব অঞ্চলের কৃষককে সমানহারে ৮০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষিযন্ত্র ক্রয়ের সুযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর ও কৃষককে আরো বেশি লাভজনক করা সম্ভব হবে।
গতকাল রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) মিলনায়তনে ‘সমন্বিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প’- এর জাতীয় কর্মশালায় এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে ৩ হাজার ২০ কোটি টাকার প্রকল্প। পাশাপাশি কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ত্বরান্বিত করতে দক্ষ জনবল তৈরিতে এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে কৃষি প্রকৌশলীর ২৮৪টি পদ সৃজন করা হয়েছে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে যাচ্ছে। এ বছরে বোরোতে ধানকাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার, রিপার বেশি ব্যবহূত হওয়ায় দ্রুততার সঙ্গে সফলভাবে ধান ঘরে তোলা সম্ভব হয়েছে। বাংলাদেশের কৃষিও পশ্চিমা বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশের কৃষির মতো উন্নত ও আধুনিক হবে। এছাড়া স্থানীয়ভাবে খুচরা যন্থাংশ তৈরি ও মেরামত কারখানা তৈরিতে গুরুত্ব দিচ্ছি। যাতে স্থানীয় পর্যায়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়।
এ বিষয়ে কৃষিযন্ত্র প্রস্তুতকারী, নির্মাতা ও আমদানিকারকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশেই যাতে আমরা বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তৈরি করতে পারি, এ লক্ষ্য নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। কৃষিযন্ত্র তৈরির জন্য আমরা এরই মধ্যে ভারতের টাটা কোম্পানি ও মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলেছি।