সামাজিক পুঁজি
(সোস্যাল ক্যাপিটাল)
প্রধানত
সমাজবিজ্ঞানের
একটি
প্রত্যয়
বা
ধারণা।
আমেরিকান
সমাজসংস্কারক
লিডা
জুডসন
হানিফান
১৯১৬
সালে
‘ব্যক্তি,
পরিবার
ও
গোষ্ঠীর
মধ্যে
শুভেচ্ছা,
সহযোগিতা,
পারস্পরিক
সহানুভূতি
এবং
সামাজিক
আন্তঃসম্পর্ক’
বোঝাতে
সামাজিক
পুঁজি
শব্দটি
ব্যবহার
করেন।
সামাজিক
পুঁজির
ধারণাটি
সর্বপ্রথম
১৮৯০-এর
দিকে
ব্যবহূত
হয়,
তবে
১৯৯০
সালের
পর
থেকে
সমাজবিজ্ঞানী,
সমাজচিন্তক
ও
উন্নয়ন-সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তিদের
দ্বারা
এটি
ব্যাপকভাবে
ব্যবহূত
হতে
থাকে।
সাম্প্রতিক
সময়ে
সমাজবদলের
ধারণাগুলোর
মধ্যে
সামাজিক
পুঁজি
সবচেয়ে
জনপ্রিয়।
সাধারণভাবে
মানুষের
মনোগত
অবস্থা
বা
মানসিকতার
পরিবর্তন
ঘটিয়ে
কোনো
ধরনের
বৈষয়িক
স্বার্থে
চিন্তা
না
করে
কাউকে
সামাজিক
ও
অর্থনৈতিক
উন্নয়নে
ব্যাপৃত
করতে
পারাকেই
সামাজিক
পুঁজি
হিসেবে
চিহ্নিত
করা
হয়।
সামাজিক পুঁজির
বিষয়টি
সামাজিক
বা
গোষ্ঠীগত
দায়বদ্ধতা
হতে
উৎসারিত
এবং
চূড়ান্ত
পর্যায়ে
তা
জনকল্যাণে
নিবেদিত।
সামাজিক
পুঁজির
বিষয়টি
হূদয়
উৎসারিত
আবেগের
সঙ্গে
সম্পর্কিত
একটি
যৌগিক
বিষয়।
সমাজবিজ্ঞানের
পরিভাষায়
বলা
হয়ে
থাকে,
যে
সমাজ
যত
বেশি
আবেগপ্রবণ,
তাদের
সামাজিক
পুঁজি
তত
শক্তিশালী
ভিত্তির
ওপর
প্রতিষ্ঠিত।
এ
আবেগকে
কাজে
লাগিয়ে
আমরা
দেশের
অর্থনৈতিক
ও
সামাজিক
উন্নয়ন
ত্বরান্বিত
করতে
পারি।
করোনাপূর্ব
ঘটে
যাওয়া
বিভিন্ন
দুর্যোগ
যেমন
রানা
প্লাজা
ট্র্যাজেডির
সময়ে
দেখা
গেছে,
সমাজের
বিভিন্ন
স্তরের
মানুষ
তাদের
সামাজিক
পুঁজি
নিয়ে
পাশে
দাঁড়িয়েছেন।
কেউ
উদ্ধারকাজে
জীবনের
ঝুঁকি
নিয়েছেন,
কেউ
স্বাস্থ্যসেবায়,
কেউ
খাদ্য
সহায়তায়
কেউবা
আর্থিক
সহায়তায়
ভূমিকা
রেখেছেন।
সাইক্লোন,
বন্যা,
অগ্নিকাণ্ডসহ
প্রাকৃতিক
বিপর্যয়
এমনকি
শিক্ষা
ও
স্বাস্থ্যসেবার
সহায়তায়
আমাদের
দেশের
সামাজিক
পুঁজির
শক্তি
অসাধারণ।
কভিড-১৯-এর
দরুন
সৃষ্টি
হওয়া
ভয়াবহ
আর্থিক
মন্দার
সঙ্গে,
জনস্বাস্থ্য
সংকটের
ফলে
আরো
একটি
ঘটনা
প্রায়
অনিবার্যভাবে
দেখা
দিয়েছে,
আর
তা
হলো
সামাজিক
পুঁজির
সম্ভাব্য
সংকট
বা
ক্ষয়।
অর্থনীতিবিদদের মতে,
সামাজিক
পুঁজি,
শ্রম
এবং
মূলধনের
মতোই
একটি
দেশের
অর্থনৈতিক
বৃদ্ধি
ও
দীর্ঘমেয়াদি
উন্নয়নের
জন্য
অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
মন্দার
ফলে
যদি
সামাজিক
পুঁজির
ক্ষয়
ঘটে,
তা
অর্থনীতির
ওপর
মন্দার
কুপ্রভাবকে
আরো
প্রকট
এবং
সুদূরপ্রসারী
করে
তুলতে
বাধ্য।
সামাজিক
পুঁজির
প্রধান
স্তম্ভ
দুটি,
যেমন
এক,
মানুষের
প্রতি
মানুষের
বিশ্বাস
এবং
দুই,
সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলোর
প্রতি
মানুষের
আস্থা।
যে
সমাজে
এ
দুই
ধরনের
বিশ্বাসের
মাত্রা
যত
বেশি,
সামাজিক
পুঁজির
নিরিখে
সেই
সমাজের
অবস্থা
তত
উন্নত।
কভিড-১৯-এর
মতো
মহামারী
সামাজিক
পুঁজির
এ
দুটি
স্তম্ভকে
ভেঙে
দিতে
পারে।
কারণ কভিড-১৯-এর
মতো
তীব্র
সংক্রামক
রোগ
থেকে
বাঁচতে
আমরা
নিজেদের
সমাজ
থেকে
যত
দূর
সম্ভব
বিচ্ছিন্ন
করি।
প্রায়
সব
রকম
সামাজিক
যোগাযোগ
বন্ধ
করে
দিই।
অচেনা
মানুষদের
সঙ্গে
মেলামেশার
তো
প্রশ্নই
ওঠে
না।
ফলে
সমাজে
তৈরি
হয়
গভীর
সন্দেহ
এবং
অবিশ্বাসের
অস্বাস্থ্যকর
পরিবেশ।
এর
ওপর
আমরা
যদি
মনে
করি
যে
সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলো
এ
সংকট
মোকাবেলায়
যথেষ্ট
সক্রিয়
ভূমিকা
পালন
করছে
না,
যেমন
সরকারের
পক্ষ
থেকে
যথেষ্ট
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
বা
এ
সংকট
নিরসনে
যথেষ্ট
কার্যকর
ব্যবস্থা
নেয়া
হচ্ছে
না
বলে
ধারণা
করি,
তখন
সেই
প্রতিষ্ঠানগুলোর
ওপরও
তীব্র
ক্ষোভ
জমা
হতে
থাকে
আমাদের
মনে।
সময়ের
সঙ্গে
সঙ্গে
এ
কারণগুলোর
জন্যই
ক্ষয়
হতে
শুরু
করে
সামাজিক
পুঁজির।
গবেষকরা ১৯১৮-এর
‘স্প্যানিশ
ফ্লু’র
সঙ্গে
কভিড-১৯
মহামারীর
সাদৃশ্য
খুঁজে
পেয়েছেন,
সেই
মহামারী
ইউরোপের
বিভিন্ন
দেশের
সামাজিক
পুঁজির
ওপর
কতটা
প্রভাব
ফেলেছিল,
সম্প্রতি
প্রকাশিত
একটি
গবেষণাপত্রে
তা
বিশ্লেষণ
করা
হয়েছে।
স্প্যানিশ
ফ্লু
শুরু
হয়েছিল
১৯১৮-এর
জানুয়ারিতে
ইউরোপে।
প্রায়
দুই
বছর
ধরে
চলা
এই
ইনফ্লুয়েঞ্জায়
সারা
বিশ্বে
আক্রান্ত
হয়েছিল
প্রায়
৫০
কোটি
মানুষ।
মৃতের
সংখ্যা
ছিল
পাঁচ
কোটি।
গোটা পৃথিবী
এই
মরণব্যাধিকে
সামাল
দিতে
হিমশিম
খেয়েছিল,
কারণ
যে
ভাইরাসটি
স্প্যানিশ
ফ্লুর
জন্য
দায়ী
ছিল,
সেই
এইচ১এন১
ভাইরাসের
কোনো
প্রতিষেধক
টিকা
তখনো
আবিষ্কৃত
হয়নি।
তাছাড়া
এ
রোগ
প্রতিরোধের
জন্য
বিভিন্ন
দেশে
যেসব
পদক্ষেপ
নেয়া
হয়েছিল
(যেমন কোয়ারেন্টিন,
লকডাউন,
মাস্কের
ব্যবহার),
সেগুলোও
ব্যর্থ
হয়েছিল
মহামারীর
দাপট
কমাতে।
ভয়াবহ
মৃতু্যুহার
এবং
অপেক্ষাকৃত
কম
বয়সীরা
বেশি
আক্রান্ত
হওয়ার
ফলে
এ
মহামারীতে
বিপুলভাবে
ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছিল
আক্রান্ত
দেশগুলোর
সামাজিক
কাঠামো।
জনস্বাস্থ্য
বিধি,
সরকার
ও
মিডিয়ার
তরফ
থেকে
লাগাতার
সামাজিক
মেলামেশা
বন্ধ
রাখার
অনুরোধের
পাশাপাশি
ছিল
গুজব,
যেমন
এ
ব্যাধি
আসলে
শত্রুপক্ষের
ছড়ানো
জৈবিক
অস্ত্র।
সব
মিলিয়ে
সমাজে
তৈরি
হয়েছিল
অবিশ্বাস
আর
সন্দেহের
বাতাবরণ।
এ মহামারীর
ফলে
ইউরোপের
বিভিন্ন
দেশে
সামাজিক
পুঁজির
যে
ক্ষয়
হয়েছিল,
তাতে
দেখা
গেছে
যেসব
দেশে
সমীক্ষাটি
পরিচালিত
হয়েছিল,
সেসব
দেশের
নাগরিকদের
ক্ষেত্রেই
১৯১৮-এর
আগের
তুলনায়
১৯১৮-এর
পরে
মানুষের
পারস্পরিক
বিশ্বাস
ও
সামাজিক
প্রতিষ্ঠানগুলোর
প্রতি
আস্থা
অনেকটা
হ্রাস
পেয়েছিল।
স্প্যানিশ
ফ্লু-তে
আক্রান্ত
হয়ে
ইউরোপের
যে
দেশে
যত
বেশি
মানুষের
মৃতু্যু
হয়েছিল,
সে
দেশের
মানুষদের
পরস্পরের
প্রতি
বিশ্বাস
ও
সামাজিক
প্রতিষ্ঠানগুলোর
প্রতি
আস্থায়ও
তত
বেশি
ফাটল
ধরেছিল।
যদি ধরে
নেয়া
যায়
যে
একটি
সময়কালে
একটি
দেশের
মানুষের
গড়
সামাজিক
মনোভাব
সেই
সময়কালে
সেই
দেশের
সামাজিক
পুঁজির
যথাযথ
প্রতিফলন
ঘটায়,
তাহলে
বলতে
হয়,
স্প্যানিশ
ফ্লুর
ফলে
সামাজিক
পুঁজির
ভয়ানক
ক্ষয়
হয়েছিল।
যে
দেশে
মৃত্যুহার
যত
বেশি
ছিল,
সামাজিক
পুঁজির
নিরিখে
সেই
দেশ
তত
বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছিল।
কভিড-১৯-এর
অভিঘাত
সত্ত্বেও
বাংলাদেশ
তার
অর্থনৈতিক
সাফল্য
ধরে
রাখতে
পেরেছে।
বিশাল
জনগোষ্ঠী
নিয়ে
বাংলাদেশ
স্বল্পোন্নত
দেশ
থেকে
নিম্নমধ্যম
আয়ের
দেশে
উন্নীত
হয়েছে।
মানুষের
মাথাপিছু
আয়
বেড়েছে,
অর্থনৈতিক
সক্ষমতা
বেড়েছে,
জীবনযাত্রার
মানও
কিছুটা
উন্নত
হয়েছে।
বিভিন্ন
মেগা
প্রকল্প,
যেমন
পদ্মা
সেতু,
রূপপুর
পারমাণবিক
বিদ্যুৎকেন্দ্র,
মাতারবাড়ী
কয়লাভিত্তিক
বিদ্যুৎকেন্দ্র,
পায়রা
বন্দর,
বঙ্গবন্ধু
স্যাটেলাইট,
মেট্রোরেল
ইত্যাদি
নিয়ে
নিয়মিত
আলোচনা
হচ্ছে।
কিন্তু
একটা
বিষয়
আলোচনার
বাইরে
থেকে
যাচ্ছে।
আর
তা
হলো
সামাজিক
অবস্থা।
মানুষে
মানুষে
আন্তরিকতা,
বিশ্বাস,
মূল্যবোধ,
আস্থা
ইত্যাদি
যা
সামাজিক
পুঁজির
অন্যতম
উপাদান।
এ
পুঁজির
ঘাটতি
থেকে
তৈরি
হয়
সামাজিক
অস্থিরতা
ও
নৈরাজ্য।
কভিড-১৯-এর
অভিঘাতে
সামাজিক
পুঁজির
এসব
উপাদানে
ফাটল
ধরেছে
কিনা,
এ-সম্পর্কিত
কোনো
বিজ্ঞানভিত্তিক
গবেষণা
বাংলাদেশে
এখন
পর্যন্ত
হয়েছে
বলে
আমাদের
জানা
নেই।
তবে
সাধারণ
দৃষ্টিতে
ও
বিভিন্ন
ঘটনা
সংঘটনের
পরিপ্রেক্ষিতে
একথা
বলা
যায়,
আমাদের
সামাজিক
মূল্যবোধ,
নীতি-নৈতিকতা,
পারস্পরিক
আস্থা,
বিশ্বাস,
আন্তরিকতা
ও
জাতীয়
প্রতিষ্ঠানগুলোর
ওপর
মানুষের
আস্থা
ইত্যাদিতে
অবক্ষয়
পরিলক্ষিত
হচ্ছে।
এসব
ঘটনা
হয়তো
আগেও
ছিল
কিন্তু কভিডকালে
এগুলো
আরো
বেড়ে
গেছে।
আস্থা
ও
বিশ্বাস
সমাজ
থেকে
উঠে
গেলে
সমাজে
অরাজকতা
ও
নৈরাজ্য
সৃষ্টি
হয়।
দরিদ্র
মানুষ
তাদের
ভাগ্য
পরিবর্তনের
সুযোগ
পায়
না।
সামাজিক
পুঁজি
কমে
গেলে
সামাজিক
নৈরাজ্য
ও
অর্থনৈতিক
পতন
ঠেকানো
সম্ভব
হয়
না।
কয়েকটি বিষয়
এখানে
তুলে
ধরলে
হয়তো
এই
সামাজিক
সংকটের
অবস্থা
কিছুটা
অনুধাবন
করা
সম্ভব
হবে।
যেমন
করোনা
মহামারীর
কারণে
প্রায়
দেড়
বছর
ধরে
সব
ধরনের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ
রয়েছে।
সাম্প্রতিক
সময়ে
দেখা
যাচ্ছে,
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
খুলে
দেয়ার
জন্য
শিক্ষক
ও
শিক্ষার্থী
মহল
থেকে
জোর
দাবি
জানানো
হচ্ছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
না
খুললে
শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনের
কথাও
বলছেন।
এটিও
সামাজিক
পুঁজি
ক্ষয়ের
একটি
নমুনা।
কারণ
শিক্ষা
হলো
সামাজিক
পুঁজির
অন্যতম
উপাদান,
যার
মাধ্যমে
সমাজ
অর্থনৈতিক,
সামাজিক,
সাংস্কৃতিক
ও
সামগ্রিকভাবে
উন্নতি
লাভ
করতে
পারে।
এছাড়া করোনা
মহামারীকালে
সংঘটিত
বিভিন
ঘটনা,
যেমন
কভিড
টেস্ট
নিয়ে
জালিয়াতি,
নারী
নির্যাতন,
যৌন
হয়রানি,
গণপরিবহনে
নারী
ধর্ষণ
ও
হত্যা,
পারিবারিক
সহিংসতা,
স্বামী
কর্তৃক
স্ত্রী
হত্যা,
স্ত্রী
কর্তৃক
স্বামী
হত্যা,
সন্তানসহ
হত্যা,
শিক্ষক-শিক্ষার্থীর
মধ্যকার
সম্পর্কের
পরিবর্তন,
দুর্নীতি,
মাদক
ও
জুয়ার
বিস্তার,
নারী
ও
শিশু
পাচার.
সামাজিক
যোগাযোগ
মাধ্যমে
নারীর
প্রতি
অবমাননাকর
মন্তব্য
ও
গোপনে
ভিডিও
ধারণ
করে
ছড়িয়ে
দেয়া,
গণমাধ্যমকর্মীদের
অসন্তোষ,
আইন-শৃঙ্খলা
রক্ষায়
নিয়োজিতদের
ব্যর্থতা,
ন্যায়বিচার
প্রাপ্তিতে
বঞ্চিত
হওয়া,
সুদ,
ঘুষ,
দুর্নীতি
ইত্যাদি
বিষয়
সামাজিক
পুঁজির
সংকটের
উদাহরণ
হিসেবে
তুলে
ধরা
যায়।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন
পরিসংখ্যান
থেকে
দেখা
যায়,
বাংলাদেশে
গত
বছরের
মার্চ
২০২০
থেকে
এ
বছর
(এপ্রিল ২০২১)
পর্যন্ত
২
কোটি
৫০
লাখ
বা
তারও
অধিক
মানুষ
নতুন
করে
দরিদ্র
হয়েছে।
করোনায়
নবসৃষ্ট
এই
বিরাট
জনগোষ্ঠীর
মৌলিক
চাহিদা
পূরণে
রাষ্ট্র
বা
সরকার
ব্যর্থ
হলে
তাদের
মধ্যে
তৈরি
হতে
পারে
অসন্তোষ;
যা
তাদের
অপরাধপ্রবণ
আচরণের
দিকে
ঠেলে
দিতে
পারে;
যা
সামাজিকভাবে
সরকারি
প্রতিষ্ঠানগুলোর
প্রতি
অনাস্থারই
জন্ম
দেবে।
এছাড়া
এই
করোনাকালে
শিশু
থেকে
বৃদ্ধ
পর্যন্ত
বিরাট
জনগোষ্ঠীর
মনোজগতে
ঘটে
গেছে
ব্যাপক
পরিবর্তন।
বিশেষ
করে
সব
ধরনের
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
বন্ধ
থাকার
ফলে
শিক্ষার্থীদের
মধ্যে
যে
মানসিক
পরিবর্তন
ঘটেছে,
তারও
সুদূরপ্রসারী
প্রভাব
সামাজিক
পুঁজি
সংকটের
কারণ
হতে
পারে
বলে
প্রতীয়মান
হয়।
সুতরাং
একথা
বলা
যায়,
সামাজিক
পুঁজি
না
বাড়লে
বা
ক্ষয়
হলে
সমাজে
নৈরাজ্যবাদ
প্রতিষ্ঠা
পাবে।
অর্থনৈতিক,
সামাজিক,
রাজনৈতিক
উন্নয়ন
ব্যাহত
হবে।
সুতরাং
এখনই
এ
বিষয়ে
মনোযোগী
হওয়া
প্রয়োজন।
সরকারের
পাশাপাশি
বিভিন্ন
বেসরকারি
উন্নয়ন
সংস্থা
ও
সুশীল
সমাজও
এক্ষেত্রে
কার্যকর
ভূমিকা
রাখতে
পারে।
কভিড-১৯-এর
কারণে
আমাদের
দেশে
সামাজিক
পুঁজির
কতটা
ক্ষতি
হবে,
সেটা
হয়তো
সময়ই
বলবে।
কিন্তু
ইতিহাস
থেকে
শিক্ষা
নিয়ে
আমাদের
প্রস্তুত
থাকা
উচিত
এ
মহামারীর
পরে
একটা
ক্ষতবিক্ষত
সমাজের
মুখোমুখি
দাঁড়ানোর
জন্য।
সত্যিই
যদি
কভিড-১৯-এর
ফলে
সামাজিক
পুঁজির
বিপুল
ক্ষয়
হয়,
তাহলে
আসন্ন
অর্থনৈতিক
সংকটের
আসল
গভীরতা,
ব্যাপ্তি
এবং
মেয়াদ
আমাদের
এখনকার
অনুমানের
চেয়েও
অনেক
বেশি
হতে
পারে।
আমাদের
মতো
দেশে
এর
ফলে
নানা
রকম
সামাজিক
অস্থিরতা
ও
ধর্মীয়
অসহিষ্ণুতা
মারাত্মক
রূপ
নিতে
পারে।
সেই
অবস্থা
মোকাবেলায়
আমাদের
সবাইকে
সেভাবে
প্রস্তুত
থাকতে
হবে।
ড. মতিউর রহমান:
গবেষণা
পরামর্শক
হিউম্যান
ডেভেলপমেন্ট
রিসার্চ
সেন্টার
(এইচডিআরসি)
শিশির রেজা:
পরিবেশ-বিষয়ক
বিশ্লেষক
ও
সহযোগী
সদস্য
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি