সাম্প্রতিক সময়ে অস্বাভাবিক শেয়ারদর ও লেনদেন বৃদ্ধির পেছনে অপ্রকাশিত কোনো মূল্যসংবেদনশীল তথ্য নেই রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড ও গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এক চিঠির জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৯ মে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৭ টাকা ১০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ৮৩ টাকা ৯০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৬ মে কোম্পানিটির মোট ১ লাখ ১৫ হাজার ৫২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৯ মে যা ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৬২টি দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির মোট ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৪৮২টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৫ টাকা ২১ পয়সা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৫ টাকা ৫৭ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল ৫২ টাকা ৬০ পয়সা।
অন্যদিকে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের গত ৯ মে শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৫৮ টাকা ৯০ পয়সা। এর পর থেকেই শেয়ারটির দর অস্বাভাবিক হারে বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ গতকাল শেয়ারটির সমাপনী দর ছিল ১০২ টাকা ৮০ পয়সা। অন্যদিকে লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ১৭ মে কোম্পানিটির মোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৩৬৮টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ২৫ মে যা ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৫১৮টি দাঁড়ায়। আর সর্বশেষ গতকাল কোম্পানিটির মোট ৩৩ লাখ ৬৭ হাজার ৫১০টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
চলতি ২০২১ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৬ পয়সা। যা আগের বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৯৮ পয়সা। সে হিসেবে কোম্পানিটির আয় বেড়েছে ৭৮ পয়সা বা ৮০ শতাংশ। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকা ৭২ পয়সায়। ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ৩২ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ নগদ ও ৭ দশমিক ৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।