১৬ দিন লেগেছিল এক গানের শুটিংয়ে!

প্রকাশ: মে ১৭, ২০২১

ফিচার ডেস্ক

চলচ্চিত্রে এক ফ্রেমে দুজন দক্ষ নৃত্যশিল্পীর নাচের দৃশ্য ধারণ করা নাকি মোটেও সহজ কাজ নয়। তবে বলিউডে কঠিন কাজটি কয়েকবারই হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম একটি ছিল ২০০২ সালের দেবদাস ছবির ডোলা রে গানটি। গানে নেচেছিলেন মাধুরী দীক্ষিত ঐশ্বরিয়া রাই। শুনলে অবাক হতে হবে, গানটির দৃশ্য ধারণ করতে সময় লেগেছিল ১৬ দিন।

না, ঐশ্বরিয়া মাধুরীর মধ্যে কোনো ঝামেলা হয়নি। বরং দুজন গানটির শুটিংয়ে বেশ আন্তরিক ছিলেন। গানটির কোরিওগ্রাফার ছিলেন প্রয়াত সরোজ খান। তার ভাই সুরেশ সম্প্রতি জানিয়েছেন, একবারের জন্যও তাদের (ঐশ্বরিয়া মাধুরী) মধ্যে কোনো মতভিন্নতা তৈরি হয়নি। কিন্তু তার পরও ডোলা রে গানটির শুটিং শেষ করতে সময় লেগেছিল ১৬ দিন। দেবদাস ছবির পরিচালক পারফেকশনিস্ট সঞ্জয় লীলা বানসালিরও কোনো বিষয়ে আপত্তি ছিল না। সঞ্জয়জি পুরো বিসয়টি আমার বোনের হাতেই ছেড়ে দিয়েছিলেন। আমার বোনের প্রতি তার পূর্ণ আস্থা ছিল।

গানটির শুটিংয়ে এতদিন সময় লাগল কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সুরেশ জানিয়েছেন, গানে ছিলেন ভারতের দুজন সেরা নৃত্যশিল্পী মাধুরী দীক্ষিত ঐশ্বরিয়া রাই। বিভিন্ন সময় যেটা হয়েছে ঐশ্বরিয়া ঠিকঠাক করেছেন কিন্তু হয়তো মাধুরী একটু অন্য রকম স্টেপ দিয়েছেন আবার উল্টোটাও ঘটছিল। কিন্তু আমার বোন এমন ছোট ছোট বিষয়েও পারফেকশন চাচ্ছিলেন। আমি সে সময় সেটে ছিলাম। বোনকে বলছিলাম যে এগুলো বড় কোনো সমস্যা না, পর্দায় দেখা যাবে না। সারোজ আমার দিকে ঘুরে বলেছিলেন, আমার চোখে পড়লে অন্য কারো চোখে পড়বে না কেন? মাধুরী ঐশ্বরিয়াকে এক ছন্দে আনার কাজটা সহজ ছিল না।

সুরেশ আরো বলেন, শুটিংয়ের সময়ই আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, গান ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে টিকে থাকবে। সময় নিয়ে করলে সব বৈসাদৃশ্য মিটে যাবে, গানটিকে আরো নিখুঁত করা যাবে। ইতিবাচক ভাবনা আমাদের কাজকে সহজ করে দিয়েছিল। গানটা সবাইকে চমকে দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, ডোলা রে গানটির জন্য সরোজ খান অষ্টমবারের মতো সেরা কোরিওগ্রাফারের ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন।

 

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫