ভারত থেকে দেশে ফেরা ৫৩৬ বাংলাদেশি রয়েছেন খুলনার ১৩টি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে। এদের মধ্যে আজ শুক্রবার রাতে ১২১ জনের বাড়ি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে ১৪ দিন পূর্ণ হলে ছাড়া পাবেন বাকিরা। ফলে এবার পরিবার ছাড়াই ঈদ পার করতে হচ্ছে এ ৫৩৬ জনের।
তবে কোয়ারেন্টিনে থাকা এ নাগরিকদের ঈদপালনে সবরকম খেয়াল রাখছে জেলা প্রশাসন। ঈদেরদিন সেমাই, পোলাও, মাংসসহ উন্নত খাবার সরবরাহ করা হয়েছে তাদের।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, প্রথমদফায় যারা এসেছিলেন, শুক্রবার রাতে তাদের ছাড়পত্র দেবে প্রশাসন। এরপর ১৪ দিন যাদের পূর্ণ হবে পর্যায়ক্রমে ছাড়পত্র দেয়া হবে। কোয়ারেন্টিনে থাকা কারও শরীরে করোনা শনাক্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইউসুফ আলী বলেন, গত ১ মে থেকে ভারত থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করা হচ্ছে। খুলনার বিভিন্ন হোটেল, সরকারি-বেসরকারি ১৩ প্রতিষ্ঠানকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার বানানো হয়েছে। সেখানে ৫৩৬ জনকে রাখা হয়েছে। পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিটি সেন্টারে ম্যাজিস্ট্রেটও নিযুক্ত রয়েছেন।
ইউসুফ আলী বলেন, ঈদের দিন কোয়ারেন্টিন সেন্টারের ভারতফেরত নাগরিকদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। তাদের ঈদপালনে সবরকম খেয়াল রাখছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে ২৬ এপ্রিল বাংলাদেশ থেকে ভারতের সকল সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসা ও বাণিজ্যিক কাজে যাওয়া বাংলাদেশিরা আটকে যান ভারতে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কোয়ারেন্টিনে থাকাসহ নানা শর্তে তারা দেশে প্রবেশের অনুমতি পান। এসময় কয়েকদফায় মোট ২ হাজার ৮০০ ভারত ফেরত নাগরিক যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন। যার মধ্যে ৫৩৬ জনকে খুলনার ১৩ কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আনা হয়।