চলমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্য ডিজিটাল হয়েছে। সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন চালু হয়েছে। যে কারণে এখন দক্ষতা অর্জনের বিকল্প নেই। ই-কমার্স, ডাটা অ্যানালাইসিস, ই-ফার্মিং, ই-এগ্রিকালচার বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এজন্য কারিগরি দক্ষতা খুবই প্রয়োজন। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উঠে আসা দক্ষ জনশক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। কমনওয়েলথ অব লার্নিং এশিয়ান কনভোকেশন-২০২১ অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে গতকাল এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এ কনভোকেশনে আরো বক্তব্য রাখেন মালদ্বীপের উচ্চশিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী ড. ইব্রাহিম হাসান ও শ্রীলংকার শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক জিএল পেইরিস।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথ ডিজিটাল লার্নিংয়ে দক্ষতা অর্জনকারী গ্র্যাজুয়েটদের কাজের সুযোগ করে দিতে হবে। এতে করে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো উপকৃত হবে।
কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে অনলাইনে প্রশিক্ষণ বিপুল সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এ সুুযোগকে যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। ডিজিটাল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন এবং ইন্টারপার্টনারশিপের মাধ্যমে তা কাজে লাগানো প্রয়োজন। কমনওয়েলথ ডিজিটাল লার্নিং প্লাটফর্মে অনলাইন ট্রেনিং, করোনাকালে এবং পরবর্তী সময়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো বেকার জনবলকে কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। কমনওয়েলথ রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের আসন্ন সভায় উল্লিখিত বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা যেতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কমনওয়েলথ অব লার্নিংয়ের স্পেশাল অ্যাডভাইজার ড. নাভিদ মালিক, কুরসিরার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেফ মেগিঅনকলডা, কমনওয়েলথ অব লার্নিংয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অধ্যাপক আশা কানওয়ার ও কমনওয়েলথ অব লার্নিংয়ের অ্যাডভাইজার (স্কিল) ড. বাশিরহামাদ শাধরাচ প্রমুখ।