প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের

প্রকাশ: এপ্রিল ২৩, ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের প্রতিষ্ঠান মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চলতি হিসাব বছরের ৩১ মার্চ ২০২১ শেষ হওয়া প্রথম প্রান্তিকে আয় বেড়েছে। গতকাল ব্যাংকটির ৩৮৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনার পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য প্রকাশ করে।

আলোচ্য সময়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা, আর এককভাবে ৫৬ পয়সা। হিসাবে প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিত আয় বেড়েছে পয়সা বা ১৬ শতাংশ, আর এককভাবে আয় বেড়েছে পয়সা বা সাড়ে শতাংশ। আগের হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত একক ইপিএস ছিল যথাক্রমে ৫৫ পয়সা ৫৩ পয়সা। ৩১ মার্চ ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ২১ পয়সা এককভাবে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা, যা আগের হিসাব বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ২৪ টাকা ২৩ পয়সা ২৪ টাকা ১৬ পয়সা।

গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত ২০২০ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ প্রদানের সুপারিশ করে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে ১০ শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ।

আলোচ্য সময়ে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সমন্বিত ইপিএস হয়েছে টাকা ২৬ পয়সা, আর এককভাবে টাকা ২০ পয়সা। আগের হিসাব বছরে ব্যাংকটির সমন্বিত একক ইপিএস ছিল যথাক্রমে টাকা ২৬ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) টাকা ২১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত) ৩১ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সমন্বিত এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৬১ পয়সা এককভাবে ২২ টাকা ৪৬ পয়সা, আগের হিসাব বছর শেষে যা ছিল যথাক্রমে ২২ টাকা ৩৪ পয়সা ২২ টাকা ৩১ পয়সা।

৩১ ডিসেম্বর ২০২০ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, ঘোষিত লভ্যাংশসহ অন্যান্য এজেন্ডা পর্যালোচনার জন্য আগামী ২৮ এপ্রিল বেলা ১১টায় ব্যাংকটির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আহ্বান করা হয়েছে। ডিজিটাল প্লাটফর্মে এই এজিএমে অংশগ্রহণ করা যাবে। এজিএম-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয় এপ্রিল।

২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের মোট ১৬ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। এর মধ্যে ১১ শতাংশ নগদ বাকি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ। ২০১৮ হিসাব বছরে ১৫ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছিল তারা। ২০১৭ হিসাব বছরে ১৭ শতাংশ নগদের পাশাপাশি শতাংশ স্টক লভ্যাংশ পেয়েছিলেন ব্যাংকটির শেয়ারহোল্ডাররা।

সর্বশেষ রেটিং অনুসারে ব্যাংকটির ঋণমান দীর্ঘমেয়াদে ডাবল স্বল্পমেয়াদে এসটি-টু ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রত্যয়ন করেছে ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (ইসিআরএল)

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গতকাল মার্কেন্টাইল ব্যাংক শেয়ারের সর্বশেষ সমাপনী দর ছিল ১০ টাকা ৯০ পয়সা। গত এক বছরে শেয়ারটির দর ১০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

২০০৪ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত মার্কেন্টাইল ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন হাজার ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯৮৪ কোটি লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে হাজার ১০৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। মোট শেয়ার সংখ্যা ৯৮ কোটি ৪০ লাখ ১৬ হাজার ২১৭। এর মধ্যে উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাছে ৩৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২৩ দশমিক ৫২, বিদেশী বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে বাকি ৩৪ দশমিক ৭১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫