পেঁয়াজের ক্রেতা সংকটে লোকসানের আশঙ্কায় হিলির ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ: এপ্রিল ২২, ২০২১

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, হিলি

চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। আমদানীকৃত পেঁয়াজ দুদিনেও বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় আমদানিকারকরা। বিক্রি না হওয়ায় বন্দর থেকে অতিরিক্ত পেঁয়াজ খালাস করে নিজস্ব গুদামে নিয়ে যাচ্ছেন তারা।

হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, আমদানির অনুমতিপত্রের (আইপি) মেয়াদ চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। কিন্তু আমদানি বাড়িয়েই বিপাকে পড়েছেন তারা। একদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে দেশে লকডাউন চলমান থাকায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেলগুলো বন্ধ রয়েছে, যেগুলোতে পেঁয়াজের একটা বড় অংশ বিক্রি হতো। অন্যদিকে রমজানের শুরুতেই অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনে ফেলেছেন। ফলে দেশের বিভিন্ন মোকামে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা ছিল সেটি কমে গেছে। কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বিক্রি কমে গেছে। 

রাশেদ হোসেন বলেন, আগে পেঁয়াজের দাম যেখানে ২৫-২৬ টাকা ছিল, এখন তা কমে ২০-২২ টাকায় নেমে গেছে। 

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার ১৪ ট্রাকে ৩৯১ টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও বিক্রি হয়েছে মাত্র সাত ট্রাক। অবশিষ্ট সাত ট্রাক পেঁয়াজ বন্দরের ভেতরে আটকা ছিল। এর ওপর মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে নয় ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়। ১৬ ট্রাকের মধ্যে মাত্র দুই ট্রাক পেঁয়াজ বিক্রি হয়। 

এদিকে অবশিষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়া এবং সাম্প্রতিক সময়ের বাড়তি গরমের কারণে পেঁয়াজে পচন ধরার ভয় করছেন ব্যবসায়ীরা। লোকসানের শঙ্কা নিয়েই অবশিষ্ট পেঁয়াজ খালাস করে গুদামে তুলেছেন আমদানিকারকরা।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫