ঘরে বসে কাজ

ই-মেইল হুমকি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ

প্রকাশ: এপ্রিল ২২, ২০২১

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত বছর করোনা লকডাউনে ঘরে বসে কাজ বৃদ্ধিতে বৈশ্বিক পর্যায়ে -মেইল হুমকি ৬৪ শতাংশ বেড়েছে। লন্ডনভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা কোম্পানি মাইমকাস্টের এক প্রতিবেদনে তথ্য উঠে এসেছে। খবর দ্য ন্যাশনাল।

স্টেট অব -মেইল সিকিউরিটি নামে গত মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে মাইমকাস্ট জানায়, -মেইল নির্ভরতা বৃদ্ধিতে কর্মীরা সহজেই মেইলে পাঠানো বিভিন্ন ক্ষতিকর লিংকে ক্লিক করে নিজেদের নিরাপত্তা ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে।

গত বছর বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ -মেইল হামলা হয়েছে তার প্রকৃত সংখ্যা জানায়নি মাইমকাস্ট। তবে প্রতিষ্ঠানটির থ্রেট ইন্টেলিজেন্সবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট জশ ডগলাস বলেন, বিভিন্ন কোম্পানি ডিজিটাল অফিস মডেল গ্রহণ করায় সাইবার হামলার ঝুঁকি বেড়েছে তাদের। অপ্রশিক্ষিত অসুরক্ষিত কর্মীদের ডিজিটাল প্লাটফর্মে ছেড়ে দেয়ায় কর্মী প্রতিষ্ঠানকে হুমকিতে ফেলা হচ্ছে।

করোনা মহামারীর কারণে গত বছর কাজ করার রীতিতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কিছু কর্মী অফিসে ফিরলেও সংক্রমণ বৃদ্ধিতে অনেকে অফিস সম্পূর্ণ বা আংশিক বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। দূরবর্তী কাজের কারণে কর্মীদের ক্ষতিকর -মেইল লিংকে ক্লিক করার পরিমাণ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেড়েছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যানসন বোর্নির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী হাজার ২২৫ তথ্যপ্রযুক্তি সাইবার নিরাপত্তা পেশাজীবীর ওপর জরিপটি চালিয়েছে মাইমকাস্ট। জরিপে যেসব দেশের পেশাজীবীরা অংশ নিয়েছেন সেগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউএই, কানাডা, সুইডেন ডেনমার্ক।

মাইমকাস্টের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঘরে বসে কাজ বৃদ্ধিতে বিশ্বব্যাপী র‍্যানসমওয়্যার হামলাও বেড়েছে। র‍্যানসমওয়্যার একটি ম্যালওয়ার, যা আক্রান্তের ফাইলপত্র দখলে নিয়ে ফেলে। তখন সাইবার হামলাকারী ওই ফাইল ফেরত দিতে আক্রান্তের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করে।

মাইমকাস্টের জরিপে অংশ নেয়া ৬১ শতাংশ বৈশ্বিক কোম্পানিই বলছে, গত বছর তারা র‍্যানসমওয়্যারের শিকার হয়েছে। প্রায় ৫২ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দিয়েছেন কিন্তু মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ তাদের ডাটা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছেন।

গত বছর যে কোম্পানিগুলো সাইবার হামলার শিকার হয়েছে তাদের ছয়দিনের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) যে কোম্পানিগুলোর ওপর জরিপ করা হয়েছে, তার ৭৮ শতাংশ কোম্পানি বলছে, গত বছর তারা র‍্যানসমওয়্যারে শিকার হয়েছে। আক্রান্তের শিকার কোম্পানির মধ্যে প্রায় ৪৩ শতাংশ স্বীকার করেছে তারা মুক্তিপণ দিয়েছে। কিন্তু মুক্তিপণ দেয়া মাত্র ৪৪ শতাংশ কোম্পানি তাদের ডাটা পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে।

ডগলাস বলেন, ব্যবসায়িক সময়ক্ষেপণ কমাতে এবং বড় অংকের পরামর্শক ফি দিয়ে সমস্যা নিরসনের চেয়ে অনেক কোম্পানি মুক্তিপণ দেয়াকে উত্তম মনে করেছে। কিন্তু এতে ঝুঁকি কমেনি কারণ ওই দরকষাকষি প্রক্রিয়ায় হ্যাকার গ্রুপের হাতে নিয়ন্ত্রণের চাবিকাঠি থেকে যায়।

তিনি আরো বলেন, মুক্তিপণ দেয়া কোম্পানিগুলো ভবিষ্যতে আরো হ্যাকিংয়ের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। কারণ তারা মুক্তিপণ দিয়ে হ্যাকার গোষ্ঠীকে বার্তা দিয়েছেন যে তারা এক্ষেত্রে মাশুল দিতে প্রস্তুত।

জরিপে অংশ নেয়া প্রায় ৭১ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বলছে, স্ল্যাক বা টিমসে আর্কাইভ করা নিজেদের ব্যবসায়িক নথিপত্রের নিরাপত্তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। প্রায় ৭০ শতাংশ কোম্পানি মনে করছে, তাদের কর্মীরা দুর্বল পাসওয়ার্ডের মতো কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিতে ফেলছেন।


সম্পাদক ও প্রকাশক: দেওয়ান হানিফ মাহমুদ

বিডিবিএল ভবন (লেভেল ১৭), ১২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫

বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ: পিএবিএক্স: ৫৫০১৪৩০১-০৬, ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন বিভাগ: ফোন: ৫৫০১৪৩০৮-১৪, ফ্যাক্স: ৫৫০১৪৩১৫